চারদিনের সফরে লন্ডন পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা

চার দিনের সরকারি সফরে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে পৌঁছেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

মঙ্গলবার (১০ জুন) স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৫ মিনিটে লন্ডন হিথ্রো বিমানবন্দরে অবতরণ করে প্রধান উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী এমিরেটস এয়ার লাইন্সের ফ্লাইট।

প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে এমন তথ্য নিশ্চিত করেন। সফরকালে বাকিংহাম প্যালেসে ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে দেখা করবেন প্রধান উপদেষ্টা। এ সময় তিনি রাজা চার্লসের হাত থেকে গ্রহণ করবেন ‘কিংস চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড’।

এছাড়া ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। তিনি যুক্তরাজ্যের নীতিগবেষণা প্রতিষ্ঠান চ্যাথাম হাউস আয়োজিত এক সংলাপে অংশ নেবেন।

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় সূত্র জানায়, তার এই সফরে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে যুক্তরাজ্যের সমর্থনের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পাবে। এর পাশাপাশি পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয়টিতে প্রাধান্য দেবে বাংলাদেশ।

আগামী ১৪ জুন প্রধান উপদেষ্টার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

এছাড়া লন্ডনে আগামী ১৩ জুন (শুক্রবার) ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে একটি আনুষ্ঠানিক বৈঠক করতে যাচ্ছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। মঙ্গলবার (১ জুন) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে লন্ডনে স্থানীয় সময় ১৩ জুন সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত একটি বৈঠকের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।’

মির্জা আরও বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা লন্ডন যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন তখন থেকেই বিএনপির পক্ষ থেকে এ বৈঠকের চেষ্টা করা হয়েছে। সবশেষ সোমবার স্থানীয় কমিটির মিটিংয়ে এ বৈঠকের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টাকে আনুষ্ঠানিকভাবে দাওয়াত দেয়া হয়েছে।’

ফখরুল জানান, লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা যে হোটেলে উঠেছেন সেখানেই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এ বৈঠকের মাধ্যমে চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনের পথ উন্মুক্ত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

তারেক-ইউনূস বৈঠককে টার্নিং পয়েন্ট আখ্যা দিয়ে ফখরুল বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে তারেক রহমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। বর্তমান সরকারও এই অভ্যুত্থানের ফসল। এ দুপক্ষের বৈঠক সফল হলে অনেক সমস্যার সহজ সমাধান আসবে।’

নির্দিষ্ট কোনো এজেন্ডা নিয়ে বৈঠক হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে দলটির মহাসচিব বলেন, ‘পূর্ব নির্ধারিত কোনো এজেন্ডা নেই। সামগ্রিক বিষয় নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে আলাপ হবে।’

এপ্রিলে জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য এটি মোটেই ভালো সময় না। এ সময়ে নির্বাচন হলে প্রচারণা চালাতে হবে রোজার মধ্যে। তারমধ্যে তখন থাকবে গরম। দেখা যাবে ইফতার পার্টি করতে করতে টাকা শেষ হয়ে যাচ্ছে, আর জনসমাগম করতে হচ্ছে রাতের বেলা।’