ঈদযাত্রার ১২ দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩১২ মৃত্যু

ঈদুল আজহা উদযাপন করতে শহর থেকে গ্রামে যাওয়া-আসার ১২ দিনে দুর্ঘটনায় ৩১২ জন প্রাণ হারিয়েছেন। বুধবার (১৮ জুন) রোড সেফটি ফাউন্ডেশ এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

দুর্ঘটনাগুলো গত ৩ জুন থেকে ১৪ জুন সংঘটিত হয়েছে। এতে প্রতিদিন গড়ে নিহত হয়েছে ২৬ জন। গত বছরের তুলনায় প্রাণহানি বেড়েছে ২৯ দশমিক ০৩ শতাংশ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সড়ক দুর্ঘটনায় ১ হাজার ২১৮ কোটি ৭২ লাখ ৮৬ হাজার টাকার মানব সম্পদের ক্ষতি হয়েছে।

ঈদুল আজহার আগে ও পরে ১২ দিনে (৩ জুন থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত) দেশে ৩৪৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩১২ জন নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত ১ হাজার ৫৭ জন (গণমাধ্যম ও হাসপাতাল সূত্রে)। নিহতের মধ্যে নারী ৪৭ জন ও ৬৩ শিশু রয়েছে।

এছাড়া ১২১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১০৭ জন, যা মোট নিহতের ৩৪ দশমিক ২৯ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৩৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ৪৪ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৫১ জন, অর্থাৎ ১৬ দশমকি ৩৪ শতাংশ।

এই সময়ে ৯টি নৌ-দুর্ঘটনায় ১০ জন নিহত ও ৮ জন আহত হয়েছেন। ৩২টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ২১ জন নিহত এবং ১৭ জন আহত হয়েছেন।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যম এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।

যানবাহনভিত্তিক নিহতের চিত্র

দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়- মোটরসাইকেলচালক ও আরোহী ১০৭ জন বাসযাত্রী ৩৩ জন, ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-পিকআপ আরোহী ১৮ জন, প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস-অ্যাম্বুলেন্স আরোহী ১১ জন, থ্রি-হুইলার যাত্রী (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান) ৭৩ জন, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-পাখিভ্যান-মাহিন্দ্র-টমটম-বিভাটেক) ২০ জন এবং বাইসাইকেল আরোহী ৬ জন নিহত হয়েছেন।

দুর্ঘটনা সংঘটিত সড়কের ধরন

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১৩৬টি জাতীয় মহাসড়কে, ১২১টি আঞ্চলিক সড়কে, ৩৪টি গ্রামীণ সড়কে এবং ৫৬টি শহরের সড়কে সংঘটিত হয়েছে।

দুর্ঘটনার ধরন

দুর্ঘটনাসমূহের ৮১টি মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৬৩টি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ৪৬টি পথচারীকে চাপা বা ধাক্কা দেওয়া, ৫১টি যানবাহনের পেছনে আঘাত করা এবং ৬টি অন্যান্য কারণে ঘটেছে।