নতুন ভোটারদের নিবন্ধনের সময়সীমা নির্ধারণের ক্ষমতা চায় ইসি

জাতীয় নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকায় নতুন ভোটারদের অন্তর্ভুক্তির জন্য একটি যৌক্তিক সময়সীমা নির্ধারণের ক্ষমতা চেয়ে নির্বাচন কমিশন খসড়া ভোটার নিবন্ধন (সংশোধন) আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকায় নতুন ভোটারদের অন্তর্ভুক্ত করার তারিখ নির্ধারণের জন্য আমরা বিদ্যমান আইনে পরিবর্তনের প্রস্তাব করেছি।’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আরও বিপুল সংখ্যক তরুণদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ইসি এই পদক্ষেপ নিয়েছে।

তিনি বলেন, প্রস্তাবিত পরিবর্তনের ফলে কমিশন আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বিবেচনার ভিত্তিতে ভোটের আগে নতুন ভোটারদের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য একটি যৌক্তিক শেষ তারিখ নির্ধারণ করতে পারবে।

সচিব বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের সময়সূচি এবং প্রতীক বরাদ্দের তারিখ বিবেচনা করে শেষ সময় নির্ধারণ করবে। আমরা এই বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে একটি সংশোধনী প্রস্তাব পাঠিয়েছি।’

নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ সম্পর্কে আখতার বলেন, ৩০০ সংসদীয় আসনের মধ্যে ৭৬টি আসনের জন্য ইসি আবেদন পেয়েছে। কিছু আবেদন বিদ্যমান সীমানা পরিবর্তনের জন্য করেছে, আবার কিছু আবেদন বর্তমান সীমানা বজায় রাখার জন্য।

ইসিকে শিগগিরই প্রক্রিয়াটি শেষ করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা উভয় ধরণের আবেদনই মূল্যায়ন করব। জনসংখ্যা, ভৌগোলিক অবস্থান এবং প্রশাসনিক সীমানার মতো পরিবর্তনশীল বিষয়গুলোর উপর ভিত্তি করে আমাদের কাছে যা যুক্তিসঙ্গত মনে হয় তা আমরা করব। পর্যালোচনা এখনও চলছে এবং এখনও কিছুই চূড়ান্ত হয়নি।’

আগামী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় ক্রয়ের জন্যও ইসি প্রস্তুতি নিচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা সেপ্টেম্বরের মধ্যে ক্রয় প্রক্রিয়া শুরু করার আশা করছি।’

রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন

আখতার আহমেদ বলেন, নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের সময়সীমা ২২ জুন শেষ হয়েছে। ‘আমরা ১৪৪টি দলের কাছ থেকে মোট ১৪৭টি আবেদন পেয়েছি। তিনটি দল একাধিক আবেদন জমা দিয়েছে।’

তিনি বলেন, এখন ২০ জন ইসি কর্মকর্তা এই আবেদনগুলোর প্রাথমিক যাচাই-বাছাই করছেন। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনী প্রতীকের সংখ্যা বাড়বে, তবে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কমিশনই নেবে।