গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশকে ঘিরে পুলিশের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ, জেলা সদরে ১৪৪ ধারা জারি
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নির্ধারিত কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীদের (বিসিএল) সংঘর্ষ হয়েছে। উত্তেজনা বাড়ায় স্থানীয় প্রশাসন গোপালগঞ্জ সদরে ১৪৪ ধারা জারি করেছে।
গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান ১৪৪ ধারা জারি করেছেন। তবে এর জন্য কোনো সময়সীমা নির্ধারণ করেননি।
বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম জানান, আরও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সদরে পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং সেনাবাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর চার প্লাটুন মোতায়েন করা হয়েছে।
ইউএনবির জেলা সংবাদদাতা জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ এবং অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের সমর্থকরা লাঠিসোটা ও ইটপাটকেল নিয়ে বিভিন্ন রাস্তায় অবস্থান নিয়েছে। এর ফলে র্যাব, সেনাবাহিনী ও বিজিবির সদস্যরা শহরে তাদের টহল জোরদার করেছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এবং আওয়ামী লীগ সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়া অব্যাহত থাকায় শহরে চরম উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
এর আগে ভোরে জেলায় এনসিপির কর্মসূচি বানচাল করতে আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের কর্মীরা হামলা চালালে পুলিশ সদস্যসহ বেশ কয়েকজন আহত হন।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম রকিবুল হাসান বলেন, ‘এনসিপির জুলাই মাসের পদযাত্রার অংশ হিসেবে আজ গোপালগঞ্জের পৌর পার্কে একটি নির্ধারিত পদযাত্রা ও সভা অনুষ্ঠিত হয়। তাদের কর্মসূচি বানচাল করার জন্য আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা প্রথমে পুলিশের উপর হামলা চালায় এবং পরে আমার গাড়িবহরে হামলা ও ভাঙচুর চালায়।’
ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে, দুপুর ২টার দিকে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের সংগঠক সরজিস আলম, ডা. তাসনিম জারাসহ কেন্দ্রীয় নেতারা শহরের পৌর পার্ক এলাকায় সমাবেশস্থলে পৌঁছান।
দলটির স্থানীয় নেতাকর্মীরা ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ স্লোগান দিয়ে তাদের স্বাগত জানান।