ঋণখেলাপীদের জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঋণখেলাপীদের প্রার্থী হওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
বুধবার (১৩ আগস্ট) জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের আয়োজনে অর্থ মন্ত্রণালয়ে ‘ইউপেনশন’ অ্যাপ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘যদি রাজনৈতিক নেতা টাকা দিয়ে মনোনয়ন বা ভোট প্রচারণা করেন, তখন অর্থ মন্ত্রণালয় কিছুই করতে পারবে না।’
তবে ফেব্রুয়ারিতে সুস্থ নির্বাচন নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে মন্ত্রণালয় সব প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বর্তমান আইনের আওতায় ঋণখেলাপীরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। ১৯৭২ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ধারা ১২ অনুযায়ী, ঋণখেলাপী কেউ সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হতে অযোগ্য।
সালেহউদ্দিন বলেন, ‘যদি কেউ ঋণখেলাপী (ডিফল্টার) হয়, তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। তবে নির্বাচনের আগে এই ধারা প্রায়শই কার্যকর করা হয় না।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে ঋণখেলাপীদের শনাক্ত করতে হবে।’ উদাহরণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, ঋণখেলাপী হলেও সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা মহিউদ্দিন খান আলমগীর পাঁচ বছর সংসদ সদস্য ছিলেন।
কালো অর্থ ব্যবহারের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে এখনও আমাদের কাছে কিছু আসেনি। নির্বাচন কমিশন বিষয়টি বিবেচনা করবে। কালো অর্থের দুটি দিক আছে—উৎস এবং প্রক্রিয়া। উৎসের ক্ষেত্র এখন পূর্বের তুলনায় অনেকটা বন্ধ, এবং কিছু চেক অ্যান্ড ব্যালান্স রয়েছে।’
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর মঙ্গলবারের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘তাদের রাজনৈতিক মন্তব্য করার স্বাধীনতা রয়েছে। আমার ছাত্রজীবনে আমিও বামপন্থী রাজনীতি করেছি এবং নানা মন্তব্য করেছি—হল বন্ধ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ইত্যাদি। তবে সেগুলো কখনও বন্ধ হয়নি।’