ডাকসু নির্বাচনে শীর্ষ তিন পদে ৯৫ প্রার্থী, ৬০ নারীসহ মোট প্রার্থী ৪৬২
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে শীর্ষ তিন পদ সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৪৮ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৯ জন ও সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) হিসেবে ২৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সবমিলিয়ে এই তিনটি পদপ্রার্থী ৯৫ জন। ডাকসু নির্বাচনে প্রাথমিক বৈধ প্রার্থী ৪৬২ জন, এর মধ্যে ৬০জন নারী প্রার্থী।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডাকসুর চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক জসীম উদ্দীন।
তিনি জানান, ডাকসু নির্বাচনে প্রাথমিক বৈধ প্রার্থী ৪৬২ জন। ত্রুটিপূর্ণ মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ায় স্থগিত ৪৭ জন। ৩ টি পদে নেই কোনো নারী প্রার্থী। যাদের প্রার্থীতা স্থগিত করা হয়েছে তাদেরকে আগামী ২৩ আগস্ট ২০২৫ তারিখের মধ্যে আপীল করতে হবে। উক্ত সময়ের পরে আপীল করলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।
নির্বাচনে ভিপি পদে ছাত্র প্রার্থী ৪৩ জন, ছাত্রী ৫ জন; জিএএস পদে ছাত্র ১৮ জন, ছাত্রী ১ জন; এজিএস পদে ছাত্র ২৪ জন, ছাত্রী ৪ জন; মুক্তিযুদ্ধ ও ছাত্র আন্দোলন সম্পাদক পদে ছাত্র ১৪, ছাত্রী ১; বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ছাত্র ১০ জন, ছাত্রী ১ জন; ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক ছাত্র ৭ জন, ছাত্রী ২ জন; সমাজসেবা সম্পাদক পদে ছাত্র ১৩ জন, ছাত্রী নেই; মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক পদে ছাত্র ৮, ছাত্রী ৩ জন; স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে ছাত্র ১২, ছাত্রী ৩।
ছাত্র পরিবহন সম্পাদক পদে ছাত্র ৯ জন, এতে কোন ছাত্রী প্রার্থী নেই; ক্রীড়া সম্পাদক পদে ছাত্র ১২ জন , ছাত্রী ১ জন ; গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক ছাত্র ৭, ছাত্রী ৪; কমন রুম, রিডিং রুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে ছাত্র ২, ছাত্রী ৯; আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে ছাত্র ১৫ জন, ছাত্রী নেই; সাহিত্য সম্পাদক ছাত্র ১৭, ছাত্রী ২; সদস্য পদে ছাত্র ১৯১ জন, ছাত্রী ২৪ জন, মোট ২১৫ জন।
সবমিলিয়ে ডাকসু নির্বাচনে বৈধ প্রাথমিক প্রার্থী হিসেবে ছাত্র মোট ৪০২ জন, ছাত্রী ৬০ জন।
এ ছাড়া নির্বাচন কমিশন জানায়, হল সংসদে বৈধ প্রার্থী ১১০৮ জন, স্থগিত ১ জন।
রিটার্নিং কর্মকর্তারা জানান, ভোটার নাম্বার, নাম পরিচয়ে ত্রুটি, রেজিস্ট্রেশন নাম্বারে ভুল, বাবা মায়ের নামে ভুল/অসঙ্গতি, স্বাক্ষর ভুল ইত্যাদি কারণে প্রার্থীতা স্থগিত করা হয়েছে। প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশন বরাবর আপিল করলে যাচাই বাছাই করে দেখা হবে। ২৩ আগস্ট পর্যন্ত সুযোগ থাকবে আপিল করার জন্য। ২৪ আগস্ট যাচাই বাছাই করে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে।
আজ থেকে আপ্যায়ন নিষেধ
নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী কোনো প্রার্থী বা পক্ষ আজ (বৃহস্পতিবার) থেকে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত স্বপ্রণোদিত হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক কোনো ধরনের সেবামূলক কাজে অংশ নিতে পারবেন না, কোনো ধরনের উপঢৌকন বিলি-বণ্টন করতে পারবেন না, এমনকি আপ্যায়ন করানো, অর্থ সহযোগিতা করা কিংবা অনুরূপ কোনো কার্যক্রমে যুক্ত হতে পারবেন না। এ ধরনের কার্যক্রম সুস্পষ্টভাবে আচরণবিধি লঙ্ঘন বলে বিবেচিত হবে বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক জসীম উদ্দীন।
এ ছাড়া, আজ থেকে ২৫ আগস্ট ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত কেউ হল কিংবা ক্যাম্পাসে প্রচারণা চালাতে পারবেন না। ২৬ আগস্ট ২০২৫ তারিখ থেকে প্রার্থীরা প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
উল্লেখিত সময়ের মধ্যে প্রচারণা চালালে এটি ডাকসু নির্বাচন ২০২৫-এর আচরণবিধি ভঙ্গ হিসাবে বিবেচিত হবে এবং শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।