এক শ্রেণীর সাংবাদিকের স্বভাব বদলাবে কবে

বাংলাদেশের এক শ্রেণীর সাংবাদিক গোষ্ঠী মনে প্রাণে বিশ্বাস করে কোটা সংস্কার আন্দোলনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে কোন শিক্ষার্থী কিংবা অভিভাবক কিংবা পথচারী নিহত কিংবা আহত হয় নাই। যারাই নিহত কিংবা আহত হয়েছে তারা সবাই সরকার বিরোধী জামাত-শিবির এবং বিএনপির অস্ত্রধারীদের গুলিতেই হয়েছে।  সেজন্য তারা বৃষ্টিতে ভিজে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সরকারের বেঁধে দেওয়া শোক দিবস পালন করেছে অতিশয় আনন্দ মুখর পরিবেশে। তারা একটি স্বৈরাচারের পক্ষে যথাসাধ্য চেষ্টা করে দাসত্বের নিদর্শন রাখতে পেরেছে এতেই তারা ধন্য। পাশাপাশি তাদের এই শোক পালনের দৃশ্য জাতিকে উপহাস করার যে কদর্য নিদর্শন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা  সরকারের মশকরার শোক ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।

এই গোষ্ঠী একবারও বুঝতে পারছে না যে, বিএনপি- জামাত বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভও এই সরকারের বিরুদ্ধে। তাহলে প্রতিপক্ষ এখানে সরকার এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। জামাত-বিএনপির অস্ত্রধারীদের অস্ত্র থেকে গুলি বর্ষিত হলে সেটা লাগার কথা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারীর বুক বরাবর। তাদের লাশে সয়লাব হয়ে যাওয়ার কথা ঢাকার রাজপথ। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো তাদের গুলিতে নাকি ঢাকার রাজপথ সয়লাব হয়েছে তাদেরই সহযাত্রী যোদ্ধা শিক্ষার্থীদের লাশে। ওই যে -রাজা শিখিয়ে দিয়েছেন আমি যা বলব তোমরা সেটাই সমর্থন করে যাবে। রাজা বলেছেন জামাত-শিবিরের গুলিতে নিরীহ শিক্ষার্থীদের জীবন ঝরেছে। স্বজন হারানোর বেদনা রাজার চেয়ে আর কেউ বোঝে না। এই যে বয়ান তৈরি করে দিয়েছেন রাজা। তার দালাল গোষ্ঠী এর বাইরে তো কোন অবস্থাতেই যেতে পারবেনা। তারা সাংবাদিক, তারা মাঠে ময়দানে ঘুরে ঘুরে দেখেছেন। খবর সংগ্রহ করেছেন, ছবি তুলেছে ভিডিও করেছেন। কারা গুলি করেছে সেটাও দেখিয়েছেন। কিন্তু নিজের চোখ, নিজের কান, নিজের বিবেক বন্ধক দিয়ে রেখেছেন শয়তানের কাছে। সেখান থেকে উঠে আসা তো তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। এতগুলো প্রাণ ঝরে গেল সেজন্য তারা কাঁদছেন না। সেজন্য তারা শোক প্রকাশ করছেন না। তারা আসলে কাঁদছেন মেট্রো স্টেশন পুড়ে গেছে বলে। তারা কাঁদছেন ডাটা সেন্টারে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে। তারা কাঁদছেন বিটিভি ভবনে আগুন লাগানো হয়েছে বলে। তারা কাঁদছেন, কারণ রাজা কাঁদছেন।

এই সাংবাদিক গোষ্ঠী কিন্তু জানেন মেট্রোরেল চালু হওয়ার কারণে কারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে? মেট্রোরেল চালু হওয়ার ফলে ওই রুটে চলাচলকারী বাস মালিক এবং শ্রমিকরা বেকায়দায় আছে। তাদের আয় রোজগার কমে গেছে। তদন্ত ছাড়াই মামলা দিয়ে এ পর্যন্ত ২১ হাজার আসামি করা হয়েছে। শোনা যাচ্ছে এই সংখ্যা আরো বাড়বে। এটা পূর্বপরিকল্পিত। 

এই সাংবাদিক গোষ্ঠী জানেন ডাটা সেন্টার পুড়িয়ে দেওয়ার কারণে গত কয়েকদিন কারা লাভবান হয়েছে? কেননা ডাটা সেন্টার চালু থাকলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম চালু থাকত। ফেসবুক টুইটার চালু থাকতো। সরকারের দালাল মিডিয়াগুলো একতরফা প্রচার চালাতে পারত না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে স্বৈরশাসকরা খুব বেশি ভয় পায়। আর বিটিভি ? এটার নাম কি মানুষ জানে? এটা থাকা না থাকার মধ্যে কার কি স্বার্থ লুকিয়ে আছে? কয়জন শিক্ষার্থী বিটিভির নাম জানে?

এগুলো পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সুকৌশলে বিএনপি জামাতের উপরে দোষ চাপিয়ে দিয়ে তাদের আবার গণহারে গ্রেফতার, রিমান্ড এবং কারাদণ্ড দেওয়া। সবই একেবারে পুরনো কৌশল। এটা আমাদের গদি মিডিয়া ভালোভাবে জেনে শুনে বিএনপি জামাতের বিরুদ্ধে প্রচারে নেমে পড়েছে।

এই গোষ্ঠীর সিনিয়র নেতারা কয়েকদিন আগে স্বৈরশাসককে বলে এসেছেন,"আপনি যা করবেন তার সঙ্গে আছি আমরা। যত ধরনের সমর্থন লাগে আমরা আপনাকে দিয়েই যাব।"একথা মিডিয়ায় প্রকাশিত হওয়ার পর পরই সিনিয়র সাংবাদিক আমির খসরু তার  ফেসবুকে এক লাইনের একটা স্ট্যাটাস দিয়েছেন,"এই দালাল চাটুকার সাংবাদিকদের চিনে রাখুন"। কোটা সংস্কার আন্দোলন যখন চলছিল এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে শত শত নিরীহ নিরস্ত্র শিক্ষার্থীরা জীবন দিচ্ছিল তখন হঠাৎ করে বন্ধ করে দেওয়া হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এবং ইউটিউব। সে সময় একচেটিয়া প্রচার চালায় কয়েকটি মিডিয়া যাদেরকে বিটিভির চেয়েও অতিমাত্রায় দালাল বলে মনে হয়েছে। তারা নিহত আহতদের খবর পর্যন্ত ব্ল্যাকআউট করেছে। 

কিন্তু কিছু বিবেকবান ব্যক্তি গোষ্ঠী এবং প্রতিষ্ঠান এখনো শির দাঁড়া উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। তারা তো সরকার কিংবা সাংবাদিক গোষ্ঠীর কথায় নিজেদের বিবেক বন্ধক রাখতে পারে না। সেজন্য কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে গত কয়েক দিনের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তান্ডব জনসমক্ষে  তুলে ধরতে শুরু করেছে। সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রতিদিন রাজপথে মিছিল মিটিং করে নিরীহ নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের পক্ষে সমর্থন যুগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষক গোষ্ঠী যারা শিক্ষক নেটওয়ার্ক নামে পরিচিত তারা প্রতিনিয়ত কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের পক্ষে বক্তব্য তুলে ধরছেন। শিক্ষার্থীদের এবারের আন্দোলন শুধুমাত্র যে শিক্ষাঙ্গনে সীমাবদ্ধ ছিল না সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাদের আন্দোলন শিক্ষাঙ্গন ছাড়িয়ে রাজপথ থেকে শুরু করে প্রতিটি জনপদে প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে।

শিক্ষার্থীদের এই জনপ্রিয় শান্তিপূর্ণ আন্দোলন  যেভাবে বল প্রয়োগের মাধ্যমে ছত্রখান করে দেওয়া হয়েছে তা নজিরবিহীন। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বুলেটের নির্মম আঘাতে শত শত ছাত্রের প্রাণ ঝরেছে, হাজার হাজার শিক্ষার্থী শরীরের বুলেট নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন । তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে সাধারণ মানুষ। শিক্ষক, সাংবাদিক, আইনজীবী, সংস্কৃতি সেবী, অভিভাবক এবং সচেতন নাগরিক সমাজ যখন স্বৈরাচারী শাসকের বিরুদ্ধে সোচ্চার তখনই মাঠে সোচ্চার এই দালাল সাংবাদিক গোষ্ঠী।

এই দুর্যোগ মুহূর্তে ধন্যবাদ জানাতে হয় অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালকে। তারা এই কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে তাদের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছে গত মঙ্গলবার । তাদের ওয়েবসাইটে শোভা পাচ্ছে সেই পর্যবেক্ষণ।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মহাসচিব অ্যাগনেস ক্যালামার্ড কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষে প্রাণহানির ঘটনা নিয়ে পর্যবেক্ষণ ও কিছু দাবি তুলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে একটি খোলাচিঠি লিখেছেন ।  চিঠির শুরুতে ক্যালামার্ড লিখেছেন, বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সাম্প্রতিক সহিংস দমনাভিযানের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ নিয়ে আমি আপনাকে লিখছি। সহিংসতা বন্ধ, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা এবং বিক্ষোভের সময় ২০০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যুর জন্য জবাবদিহি নিশ্চিত করতে জরুরি ও দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আপনার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

চিঠিতে ক্যালামার্ড লিখেছেন, বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গত ২৮ জুলাই এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেছেন যে সহিংসতায় ১৪৭ জন নিহত হয়েছেন। যদিও বেসরকারি সূত্র যেমন প্রথম আলোর তথ্য অনুযায়ী, সহিংসতায় কমপক্ষে ২১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এটা বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী বিক্ষোভ দমনাভিযানের অন্যতম হয়ে উঠেছে। বিক্ষোভ শান্ত করতে দেশজুড়ে পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। অনেক বেশি মৃত্যুর এই সংখ্যা বিক্ষোভ ও ভিন্নমতের প্রতি বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের চরম অসহিষ্ণুতার দুঃখজনক অধ্যায় হয়ে উঠেছে। বিক্ষোভকারীদের ওপর প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহারসহ আইনবহির্ভূত শক্তিপ্রয়োগ মানুষের বেঁচে থাকার অধিকারের প্রতি কর্তৃপক্ষের নিষ্ঠুর অবহেলা এবং আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তারা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের বাধ্যবাধকতা মেনে চলার ক্ষেত্রে শোচনীয় ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল গত ১০ দিনে বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা পর্যবেক্ষণ ও তথ্য–উপাত্ত সংরক্ষণ করেছে। পৃথক দুটি ঘটনায় অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তথ্য–উপাত্ত যাচাই করেছে যাতে ছয় দিন যোগাযোগে বিধিনিষেধ (ইন্টারনেট বন্ধ) চলাকালে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের ওপর আইন–বহির্ভূতভাবে বলপ্রয়োগ, আইন–বহির্ভূতভাবে প্রাণঘাতী ও কম প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহারের বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে।

ক্যালামার্ড লিখেছেন, আমরা দেখতে পেয়েছি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের ওপর ওপর থেকে গুলির বেআইনি ব্যবহার, শিক্ষার্থীরা আবদ্ধ স্থানে থাকা অবস্থায় সেখানে কাঁদানে গ্যাসের বিপজ্জনক ব্যবহার এবং এ কে ঘরানার অ্যাসল্ট রাইফেলের মতো প্রাণঘাতী আগ্নেয়াস্ত্রের নির্বিঘ্ন ব্যবহার হয়েছে। অ্যামনেস্টি আরও দেখতে পেয়েছে যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরস্ত্র ও শান্তিপূর্ণ 

বিক্ষোভকারীদের ওপর ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (বিসিএল) সহিংসতা চালিয়েছে। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন এমন শিক্ষার্থীদেরও ওপর তারা হামলা করেছে।

এই বিক্ষোভের মধ্যে গত ১৮ জুলাই সন্ধ্যা থেকে বাংলাদেশের মানুষ দেশজুড়ে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়টির মুখোমুখি হয়েছে। ইন্টারনেট পুরোপুরি বন্ধ করার আগে দেশজুড়ে মোবাইল ইন্টারনেট সাময়িক বাধাগ্রস্ত করা হয়। এরপর কিছু এলাকায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার বন্ধ করে দেওয়া হয়। গত ১৯ জুলাই ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ১৪৪ ধারা জারি করে রাজধানীতে সব ধরনের মিছিল–সমাবেশ নিষিদ্ধ করে।

গত ১৯ জুলাই শুক্রবার মধ্যরাতে পুলিশকে দেখামাত্রই গুলি করার নির্দেশ দেওয়া হয় এবং কারফিউ জারি করা হয়। দেশজুড়ে ইন্টারনেট বন্ধ, দেশজুড়ে কারফিউ জারি করে দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশ এবং ঢাকায় সব ধরনের বিক্ষোভের ওপর নিষেধাজ্ঞা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের ওপর নজিরবিহীন দমন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।এ ধরনের বিধিনিষেধ নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক সনদ অনুসমর্থনকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে তার লঙ্ঘন। আমরা জানতে পেরেছি, গত ২৩ জুলাই দেশে ছয় দিন পর ইন্টারনেট ফিরে আসে এবং ২৪ জুলাই কারফিউ শিথিল হয়। আর ২৮ জুলাই মোবাইল ইন্টারনেট ফিরে আসে। তবে এখনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ রয়েছে।

ক্যালামার্ড তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ১০ হাজারের বেশি ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাদের বেশির ভাগ বিরোধী দলের নেতা–কর্মী, আন্দোলনকারী, শিক্ষার্থী ও বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী। এ ছাড়া শুধু রাজধানীতেই থানায় ২০০টির মতো মামলা করে ২ লাখ ১৩ হাজারের বেশি ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। এসব আসামির বেশির ভাগই অজ্ঞাত। এফআইআরে কারও নাম না দেওয়ার কৌশলটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য যে কাউকে চাইলেই গ্রেপ্তার করার সুযোগ এনে দেয়। গণগ্রেপ্তার ও ছাত্র বিক্ষোভকারীদের নির্বিচার আটকে রাখা ভয়ের পরিবেশকে আরও স্থায়ী করেছে।

লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক