স্বৈরশাসকদের পরিণতি এমনই হয়

যুগে যুগে স্বৈরশাসকরা একটি ভুল করে থাকে। জনগণের রুদ্ররোষ থেকে বাঁচতে প্রথমে পুলিশকে ব্যবহার করে। তাতে কাজ না হলে বিডিআর (সাবেক )বিজিবি নামায়। শেষ কোরামিন হচ্ছে সেনাবাহিনী এবং কার্ফ্যু। শেখ হাসিনাও একই পথ ধরে বিদায় নিলেন।

কার্ফ্যু পূর্ব পাকিস্তানে হাজির হয় আইয়ুব খান। দশবছর উন্নয়নের গল্প শুনিয়ে ঊনসত্তরে এসে গণরোষে পড়ে যায়। বাঁচার জন্য জারি করে কার্ফ্যু। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ক্ষমতা ছেড়ে বিদায় নিতে হয় তাকে।পাদপিটে হাজির হন জেনারেল ইয়াহিয়া খান। মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা।

স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৮২ সালে নির্বাচিত সরকারকে বন্দুকের নলের মুখে হটিয়ে ক্ষমতা নেয় জেনারেল এরশাদ। জারি করে কার্ফ্যু। আন্দোলনের মুখে ১৯৮৬ সালে এরশাদ যায় যায় অবস্থা তখন এই শেখ হাসিনার ঘাড়ে ভর করে একটি পাতানো নির্বাচনে মধ্য দিয়ে সে দফা বেঁচে যায় এরশাদ। অবশেষে ছাত্র জনতার একই রকম দুর্বার আন্দোলনের ১৯৯০ সালে পতন ঘটে এরশাদের। তখনও এরশাদ দুই দুইবার কার্ফ্যু জারি করে সেই কার্ফুর মধ্যে এরশাদের পতন ঘটে।

ইতিহাস ঘুরে ফিরে আসে। শেখ হাসিনার ভাগ্যে একই পরিণতি হলো।

এবারও শেখ হাসিনার পতন ঘটল কার্ফ্যু জারির মধ্য দিয়ে । কোটাবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উত্তাল তরঙ্গের মাঝে বারবার ঘৃণা ছড়িয়েছেন শেখ হাসিনা। সব শেষে আন্দোলন দমন করার জন্য পুলিশ লেলিয়ে দেন তিনি। রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ সেই লেলিয়ে দেয়া পুলিশের গুলিতে প্রথম শহীদ হন। একই সময়ে পুলিশের গুলিতে শহস্রাধিক ছাত্রজনতা শহীদ হয় ।খালি হয় শহস্রাধিক মায়ের কোল।এসব মা-বাবার জন্য গ্রেট স্যালুট। এখনো আহত বহু শিক্ষার্থী চিকিৎসাধীন। তাদের সুচিকিৎসা জরুরি।