ছাত্রদের ঐতিহাসিক ভুল
ছাত্ররাই ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের নায়ক। গত সাড়ে ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক সাংস্কৃতিক শক্তি আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে নানা ভাবে আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করেছে। সেই শক্তিগুলো চূড়ান্ত সফলতা অর্জন করতে পারেনি। বরং তিন তিনটি প্রহসনের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ভোট ডাকাতি করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকে যাওয়ার পাকাপোক্ত ব্যবস্থা করে ফেলেছিল। ছাত্ররা জাতিকে নতুন দিশা দেখিয়েছে। তিলে তিলে গড়ে ওঠা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের পতনের আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। রক্তের অক্ষরে লেখা এই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট ও কর্তৃত্ববাদী শাসনের অবসান ঘটেছে।
ছাত্রদের এই বীরত্বের গাথা দেশের সকল মানুষ স্বীকার করে। বাংলাদেশের ইতিহাসে তাদের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। ছাত্রদের এই সাফল্য সত্ত্বেও বাংলাদেশের ভাগ্যাকাশে এক কালো মেঘ যেন ঘনিয়ে উঠছে। অনেকেই নানা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন প্রকাশ্যে। আমরা যতটুকু দেখতে পাচ্ছি তার চেয়ে বেশি কানাঘুষা চলছে আড়ালে। সন্ত্রাসবাদ উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদের আশঙ্কা নিয়ে নানা আলোচনা চলছে।
সকলেই কারণ খোঁজার চেষ্টা করছেন কেন শেখ হাসিনার পতনের পরপর বাংলাদেশে ধর্মীয় উগ্রবাদীদের এই বাড়বাড়ন্ত তৈরি হলো?
কেউ কেউ মনে করেন, শেখ হাসিনার পতন নিশ্চিত হবার পর তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ভারত বাংলাদেশে ভারতীয় এজেন্ট ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ে নতুন পরিকল্পনা আঁটতে থাকে শুরু থেকেই। প্রাথমিকভাবে তারা ঠিক করে যে কোন মূল্যে বিএনপিকে ঠেকাতে হবে। বিএনপি'র সঙ্গে যেহেতু জামায়াতে ইসলামীর গাঁটছড়া বেঁধে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না এবং বিএনপিকে কিছুতেই ধর্মীয় দল হিসেবে চিহ্নিত করা সম্ভব হচ্ছে না সেহেতু তারা সিদ্ধান্ত নেয় জামায়াতকে প্রাধান্য দিলে এবং প্রশাসনে পুলিশে জামাতে আধিপত্য স্থাপন করতে দিলে খুব সহজেই বাংলাদেশকে ইসলামপন্থী দেশ হিসেবে চিহ্নিত করা যাবে। মধ্যপন্থী দল বিএনপিকে প্রাধান্য দিলে বাংলাদেশ সম্পর্কে একটা ইতিবাচক ধারণা বাইরে চলে যাবে। সেটি পতিত আওয়ামী লীগ ও ভারতের জন্য কোন ভালো ফল বয়ে আনবে না। ফলে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান প্রথম দফাতেই জামায়েতকে ব্যাপক প্রাধান্য দেওয়া শুরু করে। এতে তাদের দুটি লক্ষ্য পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। একটি হলো বিএনপিকে ক্ষমতা থেকে যতটা সম্ভব দূরে রাখা। জামায়াতকে প্রাধান্য দিয়ে বাংলাদেশের ইসলামপন্থী চেহারাটাকে সামনে আনা।
কোনো কোনো ক্ষমতাকেন্দ্র থেকে জামায়াতকে ইসলামী দলগুলোর শক্তিশালী জোট গঠনের পরামর্শ দেওয়া হয়। তারা এই ধারণা ছড়িয়ে দেয়, যদি ইসলামপন্থী দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হয় এবং ছাত্রদের দল তাদের সঙ্গে যুক্ত হয় তবে বিএনপিকে ক্ষমতার বাইরে রেখে এই নতুন জোট সামনের নির্বাচনে বিজয় লাভ করে সরকার গঠন করতে পারবে।
অন্যদিকে আওয়ামীপন্থী মিডিয়াগুলো বিএনপির বিরুদ্ধে দখল চাঁদাবাজির নানা অভিযোগ তুলতে থাকে সমস্বরে। কিন্তু প্রকৃত পরিস্থিতি হলো, বিএনপির নেতাকর্মীরা গ্রাম গঞ্জে কিছু দখল চাঁদাবাজি করলেও, বড় বড় দাও গুলো মেরেছে জামায়াতে ইসলামী। তাদের কুশলী পদক্ষেপের কারণে দুর্নাম হয়নি কিন্তু লাভ ঠিকই হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পুলিশ সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে জামায়াত সমর্থকদের ব্যাপক আধিপত্য তৈরি হয়েছে। এখানে জামায়াতের কর্মীরা অনায়াসে নিয়োগ পেয়েছেন পদোন্নতি পেয়েছেন এবং রীতিমতো নীতিনির্ধারণী জায়গাগুলোতে নিজেদের আসন দ্রুত পাকাপোক্ত করে নিয়েছেন।
কিন্তু প্রশ্ন হলো, শুধু কি আওয়ামী লীগ ও ভারত প্রভাবিত প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিরা গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত নতুন বাংলাদেশকে বিপদে ফেলতে জামায়াতকে প্রাধান্য দিয়েছেন? বিজয়ী শক্তির ইন্ধন কি সেখানে ছিল না?
এখানেই ছাত্রদের প্রসঙ্গ আসবে।
গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার বিজয়ের পর ছাত্রদের সমর্থক কিছু বুদ্ধিজীবী, তাত্ত্বিক, অ্যাক্টিভিস্ট, ইউটিউবার এই গণঅভ্যুত্থানকে বিপ্লব হিসেবে অভিহিত করেছেন। শুধু বিপ্লব নয় তারা একে ইসলামী বিপ্লব হিসেবেও আখ্যায়িত করেছেন। এ কথা সত্য, এই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী বিরোধী সকল শক্তির সমাবেশ ঘটেছিল। এখানে জামায়াতে ইসলামী, হেফাজতে ইসলামসহ বিভিন্ন আলেম-ওলামাদের দল অংশগ্রহণ করেছে। বিএনপি সহ মধ্যপন্থী দলগুলো ব্যাপকভাবে অংশ নিয়েছে। বামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণ ছিল লক্ষ করার মতো। কিন্তু সকলেই স্বীকার করেন, বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজকেন্দ্রিক দল-মত বিহীন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানেরা এই আন্দোলনের মূল চালিকাশক্তি ছিল। একে কোনভাবেই কোন দিক থেকে ইসলামী গণঅভ্যুত্থান বা বিপ্লব হিসেবে চিহ্নিত করা যায়নি। কিন্তু হঠাৎ করেই একে ইসলামী বিপ্লব হিসেবে চিহ্নিত করার একটা পরিকল্পিত প্রয়াস দেখতে পাওয়া যায়। এই প্রয়াসের সঙ্গে ছাত্রদের একটা সংযোগ ছিল একথা সহজে বোঝা যায়।
এখন প্রশ্ন হল, ছাত্ররা কেন এই গণঅভ্যুত্থানকে একটি ইসলামী বিপ্লব হিসেবে চিহ্নিত করার প্রয়াসে সায় দিয়েছিল? আন্দোলনের বিজয়ের পর সম্ভবত ছাত্রদের মধ্যে পাকাপোক্তভাবে ক্ষমতায় যাওয়ার একটা বাসনা তৈরি হয়েছিল। তারা বুঝতে পেরেছিল, ক্ষমতায় যেতে হলে তাদের পথে প্রধান বাধা বিএনপি। অপেক্ষাকৃত দুর্বল জামায়াত ও ইসলামী দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে তারা যত সহজে ক্ষমতায় যেতে পারবে তত সহজে বিএনপির সঙ্গে জোট করে ক্ষমতায় যেতে পারবে না। বিএনপির সেই সরকারে আধিপত্য বিস্তার করবে। কিন্তু জামায়াত ও অন্যান্য ইসলামী দলের সঙ্গে জোট করে ক্ষমতায় গেলে সেখানে ছাত্রদেরই আধিপত্য থাকবে। এই চিন্তা থেকে ছাত্ররা প্রশাসন পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয় সহ সকল অঙ্গনে জামায়াতকে ক্ষমতায়িত করতে থাকে। সরকারে থাকার সুবিধা কাজে লাগিয়ে তারা জামায়াতকে দ্রুততম সময়ে রাজনীতি করার অধিকার ফিরিয়ে দেয়। নিজেদের সংগঠনগুলোতে জামায়াত ও শিবির সমর্থকদের বড় স্পেস করে দেয়। সরকারের বিভিন্ন জায়গায় জামায়াতের প্রাধান্য জামায়াতকে দ্রুত বিএনপি'র প্রতিদ্বন্দ্বী দল হিসেবে সামনে নিয়ে আসে। এমনকি এই ধারণা প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করা হয় যে, জামায়াত এখন বিএনপির চেয়ে শক্তিশালী দলে পরিণত হয়েছে। তারা নির্বাচনে জয় পেয়ে সরকার গঠন করতে সক্ষম। ইসলামী দলগুলোর বৃহত্তর ঐক্যের প্রয়োজনে ছাত্ররা অন্যান্য ইসলামী দলের প্রতিষ্ঠার ব্যাপারেও সহযোগিতা করতে থাকে।
ফলে, এই গণঅভ্যুত্থান দ্রুত বলছি ইসলামী বিপ্লবের চেহারা পেতে থাকে। যার ফল হিসেবে সুন্নি ইসলামী মতাদর্শ বাংলাদেশের গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত আধিপত্য বিস্তার করতে থাকে। ধর্মীয়
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার ব্যাপারে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কারণে ইসলামপন্থীরা খুব বেশি ক্ষতির কারণ হতে পারেনি। কিন্তু, সারাদেশে অসংখ্য মাজারে বিরামহীন ভাবে হামলা করতে থাকে
এই সুন্নী মতাদর্শী ইসলামপন্থীরা। গানের অনুষ্ঠান একের পর এক বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। নারীদের উপর নানাভাবে পুরুষতান্ত্রিক নিপীড়ন নেমে আসে। এর বিপরীতে পুরো শীত মৌসুম জুড়ে জামায়াতপন্থী ও অন্যান্য ইসলামপন্থী বক্তারা উস্কানীমূলক বক্তব্য নিয়ে সারা দেশকে বিষাক্ত করতে থাকেন নারী, ভিন্নমতাবলম্বী ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে।
আর এর ফলে খুব দ্রুত ভারত একটা সুবিধাজনক পর্যায়ে পৌঁছে যায়। এমনিতেই ভারতীয় মিডিয়া নানান রকমের মিথ্যা সংবাদ ও তথ্য দিয়ে তাদের দেশের এবং বাহিরের পৃথিবীর পাঠক দর্শক শ্রোতাদের বিভ্রান্ত করে আসছিল। ইসলামপন্থীদের উত্থান তাদের হাতে তুরুপের তাস তুলে দেয়। দ্রুত তারা বাংলাদেশকে একটি ইসলামপন্থীদের হিসেবে চিহ্নিত করার প্রয়াস পায়। এবং বাংলাদেশের ভেতরে এ ধরনের প্রচারণার পক্ষে শক্ত ভিত্তি তৈরি হয়।
এরই ধারাবাহিকতায়, আমরা দেখলাম বায়তুল মোকাররমের সামনে একজন ধর্মীয় বক্তা বোতলের অধিকার ও হাতের স্বাধীনতার পক্ষে উগ্র বক্তব্য দিতে পারলেন। বায়তুল মোকাররমের নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহরীর প্রকাশ্যে মিছিল করলো।
শুধু বাইরের পৃথিবী নয় বা ভারতের মিডিয়া নয় দেশের ভেতরে শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মধ্যে ছাত্রদের জনপ্রিয়তা এর ফলে দ্রুত কমতে শুরু করলো। তারা একটা উগ্রবাদী ইসলামী পুনরুত্থানের ভয়ের মধ্যে পড়ে গেলেন।
ছাত্ররা দেরিতে হলেও এই পুনরুত্থানের বিপদ আজ করতে পেরেছে বলে মনে হয়। ফলে তারা রাজনৈতিক দল এনসিপি গঠনের সময় মধ্যপন্থী রাজনীতির ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। তারা জামায়াতের বিরুদ্ধে কথা বলেছে। কিন্তু সেই কথা কতটা মিনিংফুল সেটা এখনো বোঝা যাচ্ছে না। অনেকেই মনে করছেন, জামায়াতের সঙ্গে তারা যে দূরত্ব তৈরি করার চেষ্টা করছে সেটা আসলে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর জন্য করছে। অনেকেই একে পাতানো খেলা বা অভিনয় বলতে চান। তাদের রাজনীতিতে এর কোন প্রভাব দেখা যাচ্ছে না। তারা প্রশাসন থেকে জামায়াতপন্থীদের আধিপত্য কমানোর কোন কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। বরং জামায়াতপন্থীরা অন্য সকল মতাদর্শের মানুষদের কোণঠাসা করে ফেলছে।
ফলে ৫ আগস্ট এর পর এখন পর্যন্ত ছাত্রদের সবচেয়ে বড় ভুল ইসলামপন্থী ও জামায়াতে ইসলামীকে প্রাধান্য দিয়ে বাংলাদেশের ইসলামপন্থী চেহারাটা সামনে আনতে দেওয়া।
এর ফলে এক দিকে যেমন ভারতীয় ও আওয়ামী স্বার্থ ও প্রোপাগান্ডা সফল হয়েছে অন্যদিকে বিএনপিকে কোণঠাসা করার নীতি মধ্যপন্থী রাজনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
এর মধ্য দিয়ে শিক্ষিত মধ্যবিত্ত ও উচ্চ মধ্যবিত্তের মধ্যে নির্বাচনের পক্ষে ব্যাপক জনমত তৈরি হয়েছে। অনেকেই ভাবতে শুরু করেছেন, এই সরকার দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকলে ইসলামপন্থীরা এর ওপর প্রভাব বিস্তার করবে। সরকারের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তারাই সরকার পরিচালনা করবে। এবং সংস্থার গুলো আসলে ইসলামপন্থী সংস্কারে পর্যবসিত হবে। এগুলো শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশকে বসবাসঅযোগ্য করে তুলবে। ফলে নির্বাচনের মাধ্যমে মধ্যপন্থী বিএনপি ক্ষমতায় এলে সেটা একটা স্বস্তির কারণ হবে।
এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে লিবারাল বামপন্থী মধ্যপন্থী সকল দলকেই কোণঠাসা করার একটা প্রক্রিয়া কার্যকর হয়েছে। একটা পটেনশিয়াল থ্রেট তৈরি হয়েছে যা বাংলাদেশকে দ্রুত একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতির দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে।
ছাত্ররাও এই ঐতিহাসিক ভুল করলেও বাংলাদেশ যে এই ৬ মাসেই একটা বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে পড়েনি তার মূল কারণ ড. মুহাম্মদ ইউনুস ও তার উপদেষ্টা পরিষদ। ছাত্রদের দিক থেকে ইসলামপন্থীদের নানাভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করা হলেও উপদেষ্টা পরিষদ মোটামুটি ভাবে মধ্যপন্থী ও অবস্থান বজায় রাখতে পেরেছে। তারা অনেক ক্ষেত্রে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে। সরকারের ভেতর জামায়াতপন্থী ও উগ্র ইসলামপন্থীদের প্রভাব ব্যাপকভাবে প্রসারিত হলেও দু একজন ব্যতিক্রম বাদ দিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ ব্যাপকভাবে গ্রহণযোগ্য রয়েছে।
ছাত্ররা এক ঐতিহাসিক ভুলের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে একটা উগ্র ইসলামপন্থী রাষ্ট্রের দিকে পরিচালিত করতে যাচ্ছিল। এখনো সেই আশঙ্কা দূর হয়নি। ছাত্ররা যদি তাদের ভুল বুঝতে পারে তবে দ্রুত ইসলামপন্থী পুনরুত্থানের শক্তিগুলোর কাছ থেকে নিজেদের সরিয়ে আনতে হবে। ক্ষমতার ভাগাভাগিতে একটু কম পড়লেও বিএনপির সঙ্গে তাদের ঐক্য গড়তে হবে।