গণতন্ত্র এখন গোরস্থানে, কথা বলার স্বাধীনতা শ্মশানে: রিজভী

অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘আমরা একটা প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যে এ দেশে বসবাস করছি। ভিন্নমত দমন করা হচ্ছে। যারা সত্য কথা বলবেন, তাদেরকে যেতে হয় কারাগারে। তাদেরকে সরকারি নিপীড়নের শিকার হতে হয়।’

রিজভীর দাবি, ‘আজকে আমাদের অনেক নেতা-কর্মী হারিয়েছে গেছে। তারা কোথায় আছে কেউ জানে না। তাদের পরিবারও জানে না। এভাবে অসংখ্য গুম করে, জনগণকে ত্যাজ্য করে, ভোটারদের দূরে সরিয়ে রেখে নির্বাচনী প্রহসনের মাধ্যমে ডামি সরকার, দখলদার সরকার ক্ষমতায় আছে।’

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান (বীর উত্তম) এর ৪৩তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে মোহাম্মদপুরে ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের খাবার বিতরণ কার্যক্রমে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

বর্তমান সরকার মানুষের কথা বলার স্বাধীনতাও কেড়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন রুহুল কবির রিজভী। তার কথায়, ‘এরা গণতন্ত্রকে এমন পরিস্থিতির মধ্যে নিয়ে যেতে চায় যে, গণতন্ত্র বলে এ দেশে আর কিছু থাকবে না। তাই গণতন্ত্র এখন গোরস্থানে, কথা বলার স্বাধীনতা এখন শ্মশানে। মানুষ নির্ভয়ে কোনো কথা বরতে পারে না। এ পরিস্থিতির মধ্যে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে এদেশের মানুষকে।’

বিএনপির সিনিয়র এ নেতা আরও বলেন, ‘আজকে সারা দেশের মানুষ মনে করে প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের মন্ত্রীরা যে কথা বলেন, তার চার পয়সা দাম নেই। কারণ তারা একটাও সত্যি কথা বলেন না। এক বিভীষিকাময় পরিবেশের মধ্যে গোটা দেশ। গরিব মানুষ তাদের ফসলি জমি বিক্রি করে সন্তানকে বিদেশে পাঠাচ্ছেন ভালোভাবে বসবাস করার আসায়, বিদেশ থেকে রেমিটেন্স পাবার আসায়। অথচ আজকে ১৭ থেকে ১৮ হাজার শ্রমিক বিদেশে যেতে পারেনি। তারা মালয়েশিয়ায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে তাদের ঘটি বাটি জমি বিক্রি করেও যেতে না পেরে কেউ ভৈরব রেল সেতুতে আত্মহত্যা করেছেন। কেউ কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরেছেন। এটাই সরকারের অবদান। তারা গরিব মানুষকে আরও গরিব করে দিতে চায়। কারণ কেউ যাতে রুখে দাঁড়াতে না পারে।’

রিজভী বলেন, ‘প্রতিদিন জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। আলুর দাম এক মাস আগে ৩০টাকা ছিল। এখন ৫৫ থেকে ৬০ টাকা হয়েছে। একহালি ডিম ৫৫ টাকা, পাড়া মহল্লার মধ্যে ৬০টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক ডজন ডিমের দাম ১৬০ টাকা। সরকার যদি নির্বাচিত না হয়, জনগণের ভোটে না হয়, তাহলে সে সরকার জনগণের স্বার্থ চিন্তা করে না, কল্যাণ কামনা করে না। তারা চিন্তা করে কিভাবে তারা টাকা পাচার করবে। কিভাবে তারা জনগণের টাকা লুট করবে।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী সপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলামসহ স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।