লুটপাটকারীরাই সরকারের ভিত্তি: গণতন্ত্র মঞ্চ

‘আজিজ, বেনজীর, আনারকাণ্ডে সরকার স্পষ্ট করেছে লুটপাটকারীরাই এই সরকারের ভিত্তি। এদের দিকে আঙুল তুলতে গেলে এই সরকারের দিকেই তুলতে হবে। তাই গণতন্ত্র মঞ্চ জনগণকে নিয়ে দেশকে রক্ষা করার লক্ষ্যে এদেরকে প্রতিহত করতে আগামী দিনে আরও তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবে।’

শুক্রবার সরকার ও শাসনব্যবস্থা বদলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে গনতন্ত্র মঞ্চের ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় নেতাকর্মীরা এসব কথা বলেন। 

বাজেট নিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, ‘বিগত বাজেটগুলোতে দেশের মানুষকে শোষণ করেছে সরকার। জনগণকে লুট করেছে। বর্তমান এই বাজেটও দেশের অর্থনীতিকে আরও বিপর্যয়ের দিকে নেবে। দেশের উন্নয়ন বাজেটের প্রায় সমপরিমাণ হলো ঘাটতি বাজেট, অর্থাৎ ধার-দেনা করে ওরা এই উন্নয়ন পরিকল্পনা করেছে। উন্নয়নের নামে আরেকদফা লুটপাট করবে। আরও ঋণের মাধ্যমে দেশের ব্যাংকগুলোকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাবে। একদিকে ঋণের বোঝা, অন্যদিকে ঋণখেলাপি ও পাচারকারীদের আরও সুবিধা বাড়াবে। যাদের আয়ে দেশ চলে সেই সাধারণ মানুষের আয়ের সর্বোচ্চ ৩০ ভাগ কর আরোপ করেছে সরকার। অপরদিকে দুর্নীতিবাজদের কালোটাকা সাদা করতে কর আরোপ করেছে ১৫ভাগ।’

তারা বলেন, ‘এই দেশ এখন আর ভালো মানুষের জন্য নেই। জনগণ যে দেশের জন্য আন্দোলন করেছিল তেমন দেশ পেতে হলে আবারও আন্দোলন করতে হবে আমাদের। গণতন্ত্র মঞ্চের এই আন্দোলনে সারা দেশের মানুষকে শরিক হতে উদাক্ত আহ্বান করছি আমরা।’

নেতারা বলেন, ‘এই সরকারের আমলে সুবিধাবাদিরা একেকজন অনেকগুলো ব্যাংকের মালিক হয়েছে, লুটপাট আর পাচার করে অন্য দেশে শীর্ষ ধনী হয়েছে। এ দেশে আওয়ামী লীগ করতে হলে, তার একটি ওয়ার্ড কমিটির পদ পেতে হলে কয়েক লক্ষ টাকা দিতে হয়। এরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে দেশে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ছাড়া আর কী করতে পারবে! বাংলাদেশে এই মুহূর্তে সুবিচারের জন্য কোনো জায়গা নেই, সরকারি সেবা প্রদানের কেউ নেই। জনগণের টাকায় জবাবদিহিতাহীন সরকারের তাবেদার মানুষ বানাচ্ছে বর্তমান ব্যবস্থা। কাজেই জনগণকেই আজ এক হয়ে এই অন্যায়, রাষ্ট্র ধ্বংসের এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।’

ময়মনসিংহ নগরীর মুসলিম ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের ময়মনসিংহ জেলার সভাপতি মাহবুবে আলম জুয়েল। বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মীর মোফাজ্জল হোসেন মোস্তাক। পরিচালনা করেন অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ আমির উদ্দিন ও মোসলেমা আখতার মিতু।