চাটার দলের লোকেরা সরকার চালাচ্ছে: অলি আহমেদ

অলি আহমেদ। ফাইল ছবি

লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বলেছেন, ‘দেশে বেনজীর, আজিজের মতো লোক সৃষ্টি করেছে সরকার। এ ধরনের প্রায় ৫ হাজার লোক সৃষ্টি করেছে বর্তমান সরকার।’

আজ শনিবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে জিয়া পরিষদের উদ্যোগে জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

অলি আহমেদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু তো নিজেই বলেছিলেন যে, আমি বিদেশ থেকে টাকা আনি আর চাটার দলের লোকেরা তা খায়। এই চাটার দলের লোকেরাই তো সরকার চালাচ্ছে এখন। এখন চোরের খনি দেশ চালাচ্ছে। কম্বল চোররা দেশ চালাচ্ছে। যারা রিলিফের মাল চুরি করে। যার কারণে বেনজীর-আজিজের মতো লোকের সৃষ্টি হয়েছে। এ ধরনের প্রায় ৫ হাজার লোক সৃষ্টি করেছে সরকার।’

মুক্তিযুদ্ধ প্রসঙ্গে অলি আহমদ বলেন, ‘জিয়াউর রহমান দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন রেডিও স্টেশনে। এটা নিয়ে কোনো বিতর্ক করার দরকার নেই। আমরা তো বলি বঙ্গবন্ধু দেশকে তৈরি করেছিলেন। মুনাফেকদের দ্বারাই কেবল এটা নিয়ে কথা বলা সম্ভব। আজকে শুধু বাংলাদেশ নয়, গোটা বিশ্ব মুনাফেক বেইমানদের হাতে বন্দি। গোটা বিশ্ব আজ অশান্ত অবস্থায় আছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা মিথ্যা কথা বলি, দুর্নীতি করি, টাকা পাচার করি, ব্যাংকের টাকা নিলে তা পরিশোধ করি না। যত রকম অপকর্ম আছে সবই করি। ঢাকার গুলশান-বনানীতে অনৈতিক কাজের এমন অবস্থা তৈরি হয়েছে আপনি যেতে পারবেন না। ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় যেন ব্যাংককের পতিতালয়ের মতো হয়ে গেছে। এই অবস্থা বানিয়েছে বর্তমান অনৈতিক-অনির্বাচিত সরকার।’

অলি আহমদ বলেন, ‘জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে অন্যান্য বেঙ্গল রেজিমেন্টগুলো ঘর থেকে বের হতো না। এটা নিয়ে আমার পিএইচডিতে একটা চ্যাপ্টার আছে। জিয়াউর রহমান স্বেচ্ছায় রাষ্ট্রপতি হননি। তাকে বাধ্য করা হয়েছিল। এদেশের যত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান সবই জিয়াউর রহমানের অবদান। খামারবাড়ি তার অবদান। জাতীয় প্রেসক্লাব তার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত। তিনি সারাদেশে কৃষির বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন। কৃষি বিজ্ঞানীদের নিয়ে তিনি ব্যস্ত ছিলেন। দ্বিগুণ খাদ্য উৎপাদন করেছিলেন। শিল্প বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন। বিদেশে জনশক্তি রফতানি শুরু করেন। আজকে যে রেমিট্যান্স, এটা তো জিয়াউর রহমানের কারণেই আসছে।’

জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. আব্দুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে ও আবুল কালাম আজাদের সঞ্চালানায় সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর রহমান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কামরুল আহসান ও জিয়া পরিষদের আব্দুল্লাহিল মাসুদ প্রমুখ।