সরকার দেশকে দেউলিয়া করতে বেপরোয়া: এবি পার্টি

দেশকে দেউলিয়া করতে আওয়ামী সরকার বেপরোয়া লুটপাট চালাচ্ছে এবং তা অব্যাহত রাখার পরিকল্পনা নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি-এবি পার্টি।

এবি পার্টিতে যোগ দেওয়া কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তার সম্মানে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ অভিযোগ করেন দলের আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় রাজধানীর বিজয়নগরস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।
 
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল দিদারুল আলম, হেলাল উদ্দিন ও অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব এম.এম সুলতান মাহমুদ সম্প্রতি এবি পার্টিতে যোগদান করেন। আজ তাদের যোগদানোত্তর সংবর্ধনার আয়োজন করে দলটি। দলের আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা সভায় নবাগতদের স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার, সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, বিএম নাজমুল হক ও যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। এসময় কেন্দ্রীয় নেতারা যোগদানকৃতদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।

যোগদানকৃতদের স্বাগত জানিয়ে পার্টির আহ্বায়ক সোলায়মান চৌধুরী বলেন, সরকারের দুর্নীতি ও দুঃশাসনের কারণে দেশের সকল প্রতিষ্ঠান আজ অকার্যকর হয়ে পড়েছে। পুলিশ, সেনাবাহিনী ও প্রশাসনের বিরাট একটা অংশ এই অনৈতিক কর্মযজ্ঞে জড়িয়ে পড়েছে। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের মধ্যে যারা সৎ, নিষ্ঠাবান ও দেশপ্রেমিক তারা বঞ্চিত, অবহেলিত ও অপমানিত হয়ে নিরুৎসাহ বোধ করছেন। দেশের ভবিষ্যৎ ক্রমশ গভীর অন্ধকারে ঢেকে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশকে দেউলিয়া করতে আওয়ামী সরকার বেপরোয়া লুটপাট চালাচ্ছে এবং তা অব্যাহত রাখার জন্য আরও নির্লজ্জ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।

সাবেক সেনা ও প্রশাসন কর্মকর্তাদের এবি পার্টিতে যোগদানের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, সততা ও অভিজ্ঞতার গতিশীলতা দিয়ে রাজনীতি পুনর্গঠন করতে পারলে দেশকে নতুন করে মেরামত করা সম্ভব। নবাগতরা সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

মেজর (অব.) মিনার বলেন, ডামি প্রহসনমূলক সংসদ নির্বাচনের পর উপজেলা নির্বাচনও জনগণ প্রত্যাখ্যান করে এই সরকারকে চূড়ান্ত বার্তা জানিয়ে দিয়েছে। কোনো বিবেকবান নাগরিক এই সরকারকে নৈতিকভাবে সমর্থন জানাতে পারে না।

তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা হচ্ছেন দেশ ও বিদেশে প্রশিক্ষিত শারীরিক ও মানসিকভাবে সর্বাধিক সক্ষম নেতা যারা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে এই জাতিকে নেতৃত্ব দিতে পারবেন। অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের কাছ থেকে দেশ আজ এই ক্রান্তিলগ্নে অনেক কিছু প্রত্যাশা করে। তিনি নবাগত নেতৃবৃন্দকে দলে স্বাগত জানান। 

অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, নতুন দল তৈরি করতে গিয়ে নানা মানুষের নানা কথা আমরা শুনেছি। বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার হাতছানি থাকার পরও যারা এবি পার্টির এই কঠিন সংগ্রামে অংশ নেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেটা আমাদের জন্য বিরাট আশার ব্যাপার। আমরা তাদের স্বাগত জানাই। আশা করি নবাগত ভাইয়েরা আমাদের সংগ্রামকে বিজয়ের লক্ষ্য পর্যন্ত এগিয়ে নিয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ।
 
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, ব্যারিস্টার যোবায়ের আহমেদ ভুইয়া, দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব এবিএম খালিদ হাসান, অর্থ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম এফসিএ, মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইন, সহকারী সদস্য সচিব শাহ আব্দুর রহমান, এম আমজাদ খান, মাসুদ জমাদ্দার রানা, যুবপার্টির আহ্বায়ক শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী নাসির, উত্তরের সদস্য সচিব সেলিম খানসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।