মোসাদ্দেক আলী ফালু থাইল্যান্ডের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন

মোসাদ্দেক আলী ফালু। ফাইল ছবি

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব ও বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক আলী ফালু গুরুতর অসুস্থ। গত ৯ জুন তিনি অসুস্থ বোধ করলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বর্তমানে থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন। তবে তার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা ভালো।

মোসাদ্দেক আলী ফালুর বড় ভাই ও খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত ফটোগ্রাফার নূরউদ্দিন আহমেদ আজ শুক্রবার বলেন, বর্তমানে তার ছোট ভাই আগের চেয়ে ভালো। কয়দিন আগে হঠাৎ করেই ফালু অসুস্থ হন। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তার মাথা ঘোরায়, বমি হয়। কখনো কখনো অজ্ঞান হয়ে যায়। তবে ফালুর শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা ভালো। ফালুর সুস্থতার জন্য সকলের কাছে দোয়া কামনা করেন নূরউদ্দিন আহমেদ নূরু।

প্রসঙ্গত, মোসাদ্দেক আলী ফালু ১৯৬০ সালের ৭ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন বাংলাদেশি উদ্যোক্তা এবং একজন রাজনীতিবিদ। বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। নতুন ও অত্যন্ত সম্ভাব্য শিল্প খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী স্থানীয় সরকার ও বেসরকারি খাতের উন্নয়নের জন্য বিশেষ সম্পর্ক ও অংশীদারত্ব গড়ে তোলার জন্য তিনি অবদান রেখেছেন। সেইসঙ্গে স্থানীয় শিল্পে নতুন পণ্য ও সেবা চালু করার সময় তিনি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়িয়েছিলেন।

তিনি ২০০৩ সালে বাংলাদেশের প্রথম অটোমেশন-ভিত্তিক বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন স্টেশন ইন্টারন্যাশনাল টেলিভিশন চ্যানেল লিমিটেড (এনটিভি) চালু করেন। তিনি আরও একটি বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেল আরটিভি এবং বাংলা দৈনিক পত্রিকা দৈনিক আমার দেশ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি টেলিভিশন চ্যানেল মালিকদের (এসটিসিও) সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।

মূলত, মোসাদ্দেক আলী ফালু ১৯৭৯ সালে রাজনীতিতে যোগ দেন এবং ১৯৮০ এর দশকে এরশাদবিরোধী স্বৈরাচার আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। মোসাদ্দেক আলী ফালু বিএনপির ৫ম জাতীয় সম্মেলনে জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হিসেবে ছিলেন।

পরে ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ ষষ্ঠ জাতীয় সম্মেলনে নতুন কমিটিতে তাকে ভাইস চেয়ারম্যান করা হয়েছিল। ২০১৬ সালের ৬ আগস্ট বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কমিটি ঘোষণা করেন। তবে কমিটি ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বিএনপির নতুন কমিটির ভাইস চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন মোসাদ্দেক আলী ফালু। তিনি বেশিরভাগ সময়ই বিদেশে থাকেন। দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতিতে তিনি অনুপস্থিত রয়েছেন।