সেন্টমার্টিন ইস্যুতে সরকারের নীরবতা কাকে সন্তুষ্ট করতে, প্রশ্ন মান্নার
কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্টমার্টিন দ্বীপে আসা-যাওয়ার পথে বাংলাদেশি নৌযান লক্ষ্য করে দফায় দফায় মিয়ানমার থেকে গুলি ছোড়ার পরও সরকারের নীরবতার তীব্র সমালোচনা করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।
সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে সেন্টমার্টিন এখন বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার উপক্রম হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। আজ (শনিবার) দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়।
মান্না বলেন, অগণতান্ত্রিক, দখলদার সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে বৈশ্বিক এবং আঞ্চলিক পরাশক্তি এমনকি প্রতিবেশী দেশগুলোকে নিজের দেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে হলেও সন্তুষ্ট রাখতে চায়। এই সরকার নিজের দেশের একটা দ্বীপের নিরাপত্তা দিতে পারে না। এরা ক্ষমতায় থাকতে দেশ বিক্রি করতেও দ্বিধা করবে না।
গণতন্ত্র মঞ্চের এই শীর্ষ নেতা বলেন, নিজের দেশের মানুষ নিজেদের দ্বীপে যেতে পারছে না। খাদ্যের মজুদ ফুরিয়ে আসার পরও খাবার পৌছানো যাচ্ছে না। ৯ দিন পর ভিন্ন পথে একটিমাত্র পণ্যবাহী জাহাজ পাঠানো হয়েছে। নিজ দেশের সীমানায় থেকে স্বাভাবিক পথে সেই দ্বীপে গেলে অন্য দেশ থেকে গুলি করা হচ্ছে। মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর টহল বোট পেট্রল দিচ্ছে। ১৪টি যুদ্ধ জাহাজ দেখা যাচ্ছে সেন্টমার্টিনের খুব কাছে। অথচ এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কিছু করা হয়নি। তারা গুলি করছে, অথচ সরকার বলছে আমরা এমন কিছু করব না যাতে যুদ্ধের উস্কানি দেওয়া হয়। কতটা নতজানু পররাষ্ট্রনীতি নীতি হলে সরকার এখনো নিশ্চুপ থাকতে পারে!
সরকার কাকে সন্তুষ্ট করতে চায় প্রশ্ন রেখে মান্না বলেন, প্রধানমন্ত্রী কিছুদিন আগেই বলেছিলেন, কোনো এক সাদা চামড়ার দেশের প্রতিনিধি তার কাছে সেন্টমার্টিন চেয়েছে, বাংলাদেশের ভূখণ্ডে বিমান ঘাঁটি করার প্রস্তাব দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের কয়েকদিনের মধ্যেই সেন্টমার্টিনে বাংলাদেশ কর্তৃত্ব হারিয়ে ফেলছে এবং সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিরোধের কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। এই ঘটনা কী ইঙ্গিত বহন করে? দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়লে তার দায় পুরোপুরি সরকারকে নিতে হবে।