সেন্টমার্টিনে এখনও কেন সেনা মোতায়েন হচ্ছে না: রিজভী

রুহুল কবির রিজভী। ফাইল ছবি

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, উচ্চমধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্তরাও এখন পশু কোরবানি করার সামর্থ্য হারিয়ে ফেলেছেন। সরকার মানুষের ঈদের আনন্দ কেড়ে নিয়েছে। তাই গরুর হাটে লোক নেই। এরপরে যারাও আছেন, হাটে গরু কিনছেন তাদের বেশিরভাগ সরকারের দুর্নীতিবাজ লোক।

রবিবার (১৬ জুন) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় কোরবানির বাজারে পশুসহ নানা পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির জন্য সরকারকে দায়ী করেন রিজভী।

রিজভী বলেন, দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রেই চরম অরাজক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। শেয়ারবাজার থেকে আরম্ভ করে পাড়া-মহল্লার কাঁচাবাজার পর্যন্ত প্রতিটি সেক্টরেই সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে অসহায় সাধারণ জনগণ। বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৮০০ টাকা, এলাচের কেজি চার হাজার টাকা, লবঙ্গের কেজি প্রায় দুই হাজার, দারুচিনির কেজি প্রায় ৬০০ টাকা, তেজপাতার কেজি ৩০০ টাকা। জনগণ যেন খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির এক আগ্নেয়গিরির ওপর বসে আছে।

তিনি বলেন, দুর্নীতির কারণে ব্যাংকগুলো শূন্য হয়ে গেছে। তারল্য সংকটে সাধারণ গ্রাহকরা টাকা তুলতে পারছে না। বুথে টাকা নেই। ডলার সংকটের কারণে ব্যবসায়ীরা এলসি খুলতে পারছেন না। উচ্চশিক্ষার জন্য শিক্ষার্থীরা বিদেশে যেতে পারছেন না। ব্যাংকগুলোকে অনিরাপদ করে তোলা হয়েছে।

মিয়ানমার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সেন্টমার্টিন সীমান্তে মিয়ানমার যা করছে তা দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি। সরকার এমন কাণ্ডেও নির্বিকার।

রিজভী বলেন, গত সাত থেকে আট বছরেও মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে জোর করে ঠেলে দেওয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর একজনকেও মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়নি। মিয়ানমারের ব্যাপারে বাংলাদেশ কী নীতি অবলম্বন করছে, জনগণ সেটি জানতে চায়।

তিনি বলেন, নতজানু পররাষ্ট্রনীতি ও তাবেদারি করার কারণেই সীমান্তে দেশের মানুষ হত্যা হলেও সরকার প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না।

সেন্টমার্টিনে উত্তেজনার ঘটনায় এখনো কেন সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে না প্রশ্ন রাখেন রিজভী। তিনি দাবি জানান, মিয়ানমার সীমান্তে সেনা মোতায়েন করতে হবে।

আজিজ-বেনজীরদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হলে সরকারি আরও দুর্নীতিবাজদের তথ্য বের হয়ে আসবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।