‘২৪ ঘণ্টার আগে খালেদা জিয়ার অবস্থা সম্পর্কে কিছু বলা যাবে না’
হৃদপিণ্ডে পেসমেকার লাগানোর পর ২৪ ঘণ্টা পার না হলে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে কিছু বলা যাবে না।
রোববার (২৩ জুন) রাতে এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের একথা জানান বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
এই চিকিৎসক বলেন, ‘খালেদা জিয়ার তিনটি ব্লক ছিল, সেগুলো সারানো হয়েছে। আমি বারবার বলছিলাম, যেকোনো সময় যেকোনো অঘটন ঘটে যেতে পারে। সেই অঘটনটি গত শুক্রবার রাতে ঘটতে যাচ্ছিল এবং সেই অবস্থায় মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা দ্রুত তাকে হাসপাতালে ট্রান্সফার করে, তার যেই অবস্থা সেই অনুযায়ী তার চিকিৎসা শুরু করে। সবশেষ অবস্থা অর্থাৎ আজকে পারমানেন্ট পেসমেকার লাগানো হয়েছে। তিনি এখন চিকিৎসকদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। আগামী ২৪ ঘণ্টা না গেলে তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করা বিব্রতকর হয়ে যেতে পারে।’
দেশবাসীর কাছে খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য তার পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে দোয়া চান ডা. জাহিদ।
ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগ!
হাসপাতালের নাম উল্লেখ না করে জাহিদ হোসেন বলেন, খালেদা জিয়া যেই দিন অসুস্থ হয়েছেন, অর্থাৎ গত শুক্রবার রাত ২টা ৮ মিনিটে পাশের একটি হাসপাতালে অনুরোধ করেছিলাম একটি অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য, তাকে (খালেদা জিয়া) ট্রান্সফার করার জন্য। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, হাসপাতালের নাকি নিয়ম হচ্ছে তাদের হাসপাতালের রোগী হলে নাকি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস দেওয়া যাবে। এটা কি কোনো জরুরি চিকিৎসার নিয়ম হতে পারে!’
খালেদা জিয়ার বাসার ঠিক পাশেই রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতাল অবস্থিত। অভিজাত এই হাসপাতালে বিএনপির অনেক সিনিয়র নেতাও বিভিন্ন সময় চিকিৎসা নিয়ে থাকেন।
ডা. জাহিদ অভিযোগ করে বলেন, ‘দুই অ্যাম্পুল ইনজেকশনের জন্য অনুরোধ করেছিলাম হাসপাতালটির ডিউটি ম্যানেজার চিকিৎসককে, দে ডিনাইড (তারা প্রত্যাখ্যান করেছে), কারণ তাদের বক্তব্য হচ্ছে রোগী তো আমাদের হাসপাতালে ভর্তি হবে না। অর্থাৎ রোগী যদি তাদের হাসপাতালে ভর্তি হয় তাহলে জরুরি চিকিৎসা পাবে, অন্যথায় জরুরি চিকিৎসা পাবে না। এটি জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক, এ ধরনের জরুরি ব্যবস্থা ও অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস আদৌ আছে কি না, আমার মনে হয় সত্যিকারার্থে দেশে তো একটা নিয়মতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা নাই, সেজন্য কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা কোথাও নাই।’
অবশ্য এমন অভিযোগের বিষয়ে ইউনাইটেড হাসপাতালের ডিউটি ম্যানেজার সাব্বির আহমেদ জানিয়েছেন, এ অভিযোগ সত্য কি না তা জানতে হবে। এমন কিছুই তারা জানেন না, খোঁজ করে বলতে হবে৷