খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে শেষ করার ষড়যন্ত্র হয়েছে, অভিযোগ রিজভীর
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকারের ভয়ে তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় সহযোগিতা না দিয়ে ইউনাইটেড হাসপাতাল অমানবিক আচরণ করেছে।
তিনি বলেন, এদেশের সাধারণ মানুষ যদি এখন এই হাসপাতালের ইট খুলে নিয় যায় তাহলে তাদের করার কিছু থাকবে না। তিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান।
সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনা করে স্বেচ্ছাসেবক দলের দোয়া অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে, মহিলা দলের দোয়া মাহিলে তিনি বলেন, খাবারে ওষুধ মিশিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে অসুস্থ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে নিয়ে খাবারের মধ্যে নানা রকমের ওষুধ দিয়ে অসুস্থ করা হয়েছে। উদ্দেশ্য হলো, তাকে তিলে তিলে শেষ করা।
রিজভী বলেন, যে নেত্রীকে দেখলাম পায়ে হেঁটে কারাগারে ঢুকলেন, সেই নেই বের হলেন হুইল চেয়ারে। আজকে তিনি একের পর এক রোগাক্রান্ত, একের পর এক অসুস্থতায় তিনি ভুগছেন। এটার অন্য কোনো কারণ নেই। এটার নতুন করে অন্য কোনো ব্যাখ্যার প্রয়োজন পড়ে না। বেগম খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে শেষ করার জন্য কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাকে খাবারের মধ্যে নানা ধরনের ওষুধ দিয়ে নানা অসুস্থতায় ভোগানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তাকে উন্নত চিকিৎসার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।
শেখ হাসিনার আমলে ক্যাসিনো, সিন্ডিকেট ও দুর্নীতিবাজদের উন্নয়ন হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ নাকি শেখ হাসিনাকে আপা বলতেন, আপার জন্য গুমের পর গুম চালিয়ে গেছেন। তবে এত অপকর্মের পরও বেনজীরদের কিছু হবে না।
তিনি বলেন, সম্প্রতি পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের দেওয়া বিবৃতি গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ, এটি সংবাদপত্রের প্রতি হুমকি। প্রশাসন ক্যাডার এখন এমন লাভজনক হয়েছে যে ডাক্তার এবং ইঞ্জিনিয়াররাও এই প্রফেশনে চলে আসতে চায়।