রাজনীতিবিদরা দুর্নীতিতে সহযোগিতা করেছে: জিএম কাদের
বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, রাজনীতিবিদরাই দীর্ঘদিন ধরে দেশের দুর্নীতি ধামাচাপা দিয়ে রেখেছে। তারাই দুর্নীতিকে সহায়তা করেছে। আমলাদের দুর্নীতি থেকে তারাই মুনাফা নিয়েছে। দুর্নীতি রোধ করতে হলে রাজনীতিবিদদের টার্গেট করতে হবে। কাউকেই আইনের ঊর্ধ্বে রাখা যাবে না।
বুধবার দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ধুমধাম করে দুর্নীতিবাজদের মুখোশ উন্মোচনের কাজ আগেও দেখেছি। ক্যাসিনো নিয়ে যাদের ধরা হয়েছিল তারা এখন বহাল তবিয়তে আছে। শেষ পর্যন্ত কী হবে তা আমরা জানি না। সাধারণ মানুষের ধারণা, সরকারে থেকেই রাজনীতিবিদরা দুর্নীতির পৃষ্ঠপোষকতা করেছে। সরকারি ক্ষমতা অপব্যবহার করে দুর্নীতির পৃষ্ঠপোষকতা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার এতো ক্ষমতাবান হয়ে গেছে, তারা জবাবদিহিতার স্তম্ভগুলো পাশ কাটিয়ে যেতে পারছে। জবাবদিহিতা না থাকার কারণেই দেশে অর্থনৈতিক মন্দা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, নিরাপত্তার অভাব এবং ভালো দেশের আশা থেকে মানুষ নিরাশ হচ্ছে।
তিনি বলেন, দুদকের কর্মকাণ্ড নিয়ে জনমনে সন্দেহ আছে। আমরা দেখেছি দুদক সবসময় বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের দিকে বেশি দৃষ্টি দেয়। অনেক বড় রুই-কাতলা সরকারের সঙ্গে থাকছেন, সরকারের আনুকূল্য পাচ্ছেন, তাদের দিকে দুদকের দৃষ্টি কম। সাধারণ মানুষের ধারণা, দুদক ক্ষমতাসীনদের ধরে ধরে ক্লিন সার্টিফিকেট দেয়।
জিএম কাদের আরও বলেন, রাজনীতিবিদরা দেশের সব কর্মকাণ্ডে নেতৃত্ব দেবেন- এটাই স্বাভাবিক। রাজনীতিবিদদের হাতেই দেশের স্টিয়ারিং হুইল থাকে। তারা যেদিকে দেশকে নিয়ে যাবেন, দেশ সে দিকেই যাবে। তারা চাইলেই আমলারা দুর্নীতিবাজ হতে পারে, চাইলেই ব্যবসায়ীরা রাজনীতিবিদ হয়ে দুর্নীতিবাজ হতে পারে। এটা প্রতিদিন বেড়েই চলেছে। উদ্ধার পেতে হলে রাজনীতিবিদদের দিকেই দৃষ্টি দিতে হবে। কাউকেই আইনের ঊর্ধ্বে অবস্থান দেওয়া ঠিক না। আইনের শাসন অর্থ কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়।
তিনি বলেন, আইনের শাসন নিশ্চিত হলেই জবাবদিহিতা ও সুশাসন নিশ্চিত হবে। আইনের শাসন ও ন্যায়বিচারভিত্তিক রাষ্ট্রের জন্যই দেশের মানুষ জীবন দিয়েছিল। আমরা চাই সরকার দুর্নীতি রোধ করতে কাজ করবে- এটাই স্বাধীনতার চেতনা।