আন্দোলনের প্রক্রিয়া চলছে, শিগগির জানা যাবে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরে যে সমঝোতা-চুক্তি স্বাক্ষর করেছে তার মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক হলো রেল করিডোর। এটি বাংলাদেশের কোনো কাজে আসবে না।’
আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নবনিযুক্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীনের নেতৃত্বে আইনজীবীদের নিয়ে জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার বাংলাদেশের মানুষের কাছে কখনো সত্য কথা বলেনি। সব সময় প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে যেসব সমঝোতা-চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে, অতি অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশকে ভারতের কাছে নির্ভরশীল করে ফেলবে।’
তিনি বলেন, ‘সমঝোতার মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক হলো রেল করিডোর। এটি বাংলাদেশের কোনো কাজে লাগবে না। বাংলাদেশের মাটিতে তারা রেল লাইন ব্যবহার করবে। আকাশ-স্থল-নৌপথ সবখানে তারা (সরকার) আজকে তাদেরকে (ভারত) পার্টানারশিপে দিয়ে দিয়েছে। এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই, কানেক্টিভিটিতেও আপত্তি নেই। কিন্তু বাংলাদেশ কী পেল? সেটাই হচ্ছে প্রধান। আমরা তো এখানে কিচ্ছু পাইনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘অভিন্ন নদীগুলোর পানির ন্যায্য হিস্যা পাইনি, তিস্তা নদীর পানি পাইনি, সীমান্তে হত্যা বন্ধ হচ্ছে না, বাণিজ্য ঘাটতি আছে সেখানে স্বচ্ছ কোনো ব্যবস্থা নেই। আমরা কোনো ষড়যন্ত্রের কথা বলছি না। আমরা বলছি, এই অবৈধ সরকারই আজকে চক্রান্ত করছে। বাংলাদেশকে পরনির্ভরশীল করে ফেলছে।’
হোলি আর্টিজেন দিবসের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মহাসচিব বলেন, ‘যেকোনো ধরণের জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আমরা। কিন্তু এই সরকার জঙ্গিবাদের নাম করে, বিরোধী পক্ষকে হয়রানি, গ্রেপ্তার করছে এবং তাদেরকে কারাগারে নিক্ষেপ করেছে।’
নতুন করে সমমনা জোটের সঙ্গে বৈঠক করে যাচ্ছেন, আন্দোলন চাঙা করতে এ প্রক্রিয়া কোন পর্যায়ে আছে- এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রক্রিয়া চলছে, শিগগির জানা যাবে।’
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নতুন সভাপতি অ্যাডভেকেট জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘আমরা সুপ্রিম কোর্ট ও ঢাকা কোর্টের আইনজীবীরা দেশে আইনের শাসন, গণতন্ত্র ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতার জন্য আজকে শপথ নিয়েছি। অল্প কিছু দিনের মধ্যে বিচার বিভাগের মাধ্যমে নেত্রীকে মুক্ত করার জন্য চেষ্টা করব।’
এ সময় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সহসভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
গত ৯ জুন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এজে মোহাম্মদ আলী মারা গেলে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীনকে মনোনয়ন দেয় বিএনপি।