সরকার জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে সরাতে ছাগলকাণ্ড করেছে: ফারুক

আওয়ামী লীগ সরকার আজিজ, বেনজীর, আসাদুজ্জামান মিয়া, মতিউর তৈরি করেছে অভিযোগ করে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জাতীয় সংসদের সাবেক বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবেদিন ফারুক বলেছেন, সরকার এক এক কাণ্ড তৈরি করে মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে সরানোর জন্য শেষে ছাগলকাণ্ড করেছে।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) ভারতের সাথে অবৈধ চুক্তি, দুর্নীতি, দেশকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে আয়োজিত এক অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করে গণতন্ত্র ফোরাম।

অবস্থান কর্মসূচিতে জয়নুল আবেদিন ফারুক সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা আজিজ, বেনজীর, আসাদুজ্জামান মিয়া, মতিউর তৈরি করেছেন। নতুন করে ফয়সাল তৈরি করেছেন। এক এক কাণ্ড তৈরি করে মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে সরানোর জন্য ছাগলকাণ্ড করেছেন। এসব কাণ্ডে কোন কাজ হবে না। বাংলাদেশের মানুষ শহীদ জিয়ার দল, তারেক রহমানের নেতৃত্বে আজ অত্যন্ত সুদৃঢ় অবস্থায়।

বিরোধী দলীয় সাবেক এই চিফ হুইপ বলেন, এই সরকারের বিরুদ্ধে জনগণ কথা বলা শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রী ভারত গেলেন এক সপ্তাহে দুইবার। কি মধুর সম্পর্ক, কি প্রেম-প্রীতি, ভালোবাসা। আম, লিচু, ইলিশ পাঠান, কিন্তু গিয়ে ফেরত আসেন খালি হাতে। আমার পানির ন্যায্য হিসাব আনতে পারেন না। বরং নতুন করে আমার আমার বুকের উপর দিয়ে রেললাইন নির্মাণের সমঝোতা চুক্তি আপনি স্বাক্ষর করেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, গান গায় শিল্পী, তলে তলে ব্যথা। আসলেই সত্যি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রীর তলে ব্যথা আছে। তিনি একেক দিন একেকটা নতুন কথা আবিষ্কার করেন। আবার আবিষ্কার করলেন, আজকে পত্রিকায় দেখলাম, মমতার জন্য নাকি আমরা তিস্তার পানির শেয়ার পাচ্ছি না। হায়রে কপাল আমাদের, এত মন্দ। এই মন্দের পেছনে আওয়ামী লীগ। এই কপাল খারাপের পেছনে আওয়ামী লীগ। আবার নতুন করে সমঝোতা স্বাক্ষরের নামে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব আজকে খর্ব করার পথে আপনারা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন করেছি আমরা দিল্লির দাসত্ব গ্রহণ করার জন্য নয়।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বছরে ৯২ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে। আর হিন্দুস্তানের সাথে অসম চুক্তি করে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি আপনারা হুমকি তৈরি করবেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের একজন সৈনিক, একজন কর্মী থাকতেও আমরা কোনদিনও এটা গ্রহণ করব না।

তিনি বলেন, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা আপনারা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছেন। আইনের শাসনের নামে বেআইনি শাসন করে আমাদের লক্ষ লক্ষ কর্মীকে জেলে রেখেছেন। মির্জা আলমগীর এর মতো, মীরজা আব্বাসের মতো সততার পরিচয় দেওয়া নেতাদের বিচারপতির বাসভবনে ঢিল মারার কারণে জেল খাটতে হয়। এর চেয়ে লজ্জার কিছু হয় না।

গণতন্ত্র ফোরামের সভাপতি বিপি ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে ও কৃষক দলের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নাঈমের সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, বিএনপি'র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাড. আব্দুস সালাম আজাদ, বিএনপির সহ যুব বিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি রাশেদুল হক, মৎস্যজীবী দলের সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজ প্রমুখ।