আদালতকে ব্যবহার করে কোটা পুনর্বহাল করেছে সরকার: তারেক রহমান

ফাইল ছবি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘২০১৮ সালে কোটাবিরোধী আন্দোলনের সময় স্বৈরাচারী হাসিনা কোটা প্রত্যাহারের আশ্বাস দিয়েছিল। এখন আবার আদালতকে ব্যবহার করে সেই কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহাল করেছে। এটি স্পষ্টই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা।’

তিনি বলেছেন, ‘বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন প্রতারক বলে বারবার জনগণের সঙ্গে ধোঁকাবাজি করছে। কোটা কখনো মেধার বিকল্প হতে পারে না।’

তারেক রহমান বলেন, ‘চাকরিতে কোটার ব্যাপারে ছাত্র-তরুণদের দাবি অবশ্যই ন্যায্য এবং যৌক্তিক। জনগণের রায়ে বিএনপি সরকার গঠন করতে পারলে অবশ্যই ছাত্র-তরুণদের যে কোনো যৌক্তিক এবং ন্যায্য দাবি বাস্তবায়ন করবে। একইসঙ্গে প্রতিবন্ধীদের রাষ্ট্র অবশ্যই গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করবে।’

তিনি বলেন, ‘যদি আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকি, সিদ্ধান্তে অবিচল থাকি তবে অচিরেই একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা হবে।’

এর আগে, বৃহস্পতিবার সকালে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এক আদেশ দেন। এতে বলা হয়, সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় আপাতত বহাল থাকছে।

আপিল বিভাগ এ বিষয়ে আজ শুনানি করেননি, ‘নট টুডে’ বলে আদেশ দিয়েছেন। তবে নতুন করে শুনানির কোনো তারিখও দেননি। আদালত বলেছেন, পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে রাষ্ট্রপতি যেন লিভ টু আপিল (নিয়মিত আপিল) করেন। এখন হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত চেয়ে করা ‘সিভিল মিস পিটিশনে’র ওপর আর শুনানি হবে না।

আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষকে বলেন, আপাতত হাইকোর্টের রায় যেভাবে আছে, সেভাবে থাকুক। রায় প্রকাশিত হলে আপনারা ‘লিভ টু আপিল’ দায়ের করুন। আমরা শুনব।

এদিকে, কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীরা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এর অংশ হিসেবে আগামীকাল শুক্রবার অনলাইন-অফলাইনে প্রচারণা চালানো হবে। শনিবার সব বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে বিক্ষোভ ও রবিবার সব পরীক্ষা, ক্লাশ বর্জনের পাশাপাশি বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে।