চীনে যেতে প্রধানমন্ত্রীর ভারতের সার্টিফিকেট নেওয়া লজ্জার: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী চীন সফরে যাচ্ছেন ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে। ২০ বিলিয়ন ডলার তিনি চাচ্ছেন। আর চীনে যাওয়ার জন্য উনাকে অনুমতি নিতে হয়েছে। আওয়ামী লীগের মন্ত্রীরা বলছেন- শেখ হাসিনা চীনে যাচ্ছেন তাতে ভারতের কোনো আপত্তি নেই।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর চীন যেতে ভারতের সার্টিফিকেট নিতে হয়, তাহলে কোথায় আজ স্বাধীনতা? যে স্বাধীনতার পতাকা এ দেশের মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের রক্ত দিয়ে অর্জন করেছিল সেটা আজ কোথায়? ৩০ লাখ মা-বোনদের ইজ্জতের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম সেটা আজ কোথায়? আজকে ভারতের অনুমতি নিয়ে শেখ হাসিনাকে চীন যেতে হয়। এই লজ্জা আজকে এই জাতির। এই কাজ বেগম খালেদা জিয়া করেননি।’
শুক্রবার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, শ্রমিকদল নেতা সুমন ভঁুইয়াসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল শেষে তিনি এসব কথা বলেন। রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে ঢাকা মাহনগর শ্রমিক দলের আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিলটি রাজধানীর নয়াপল্টন থেকে শুরু হয়ে কাকরাইল-ফকিরাপুল মোড় হয়ে আবার নয়াপল্টনে গিয়ে শেষ হয়।
এসময় রিজভী বলেন, ‘শ্রমিকদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। আজ কাঁচা মরিচের দাম ৩২০ টাকা, শাকসবজির দাম সেঞ্চুরি পার হয়ে গেছে। টমেটোর ডাবল সেঞ্চুরি পার হয়ে গেছে। শ্রমিকরা এই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কিনতে পারবে না।’
তিনি বলেন, ‘এই যে অনাচার, জনগণের পেটে লাথি মেরে শেখ হাসিনা সরকারি কর্মকর্তাদের সুযোগ করে দিয়েছেন কোটি কোটি টাকা লুটপাটের। বেনজীর-আজিজদের শুধু এক-দুই কোটি টাকা নয়, হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাটের সুযোগ করে দিয়েছেন। সরকারি কর্মকর্তারা শুধু মুজিব কোট পরে জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে তারা আজকে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন।’
রিজভী বলেন, ‘প্রতিটি ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার কৌশল ব্যর্থ হয়েছে। সুমন ভুঁইয়াদের কারাগারে নিলে সবুজরা রাজপথে বের হবে। হামলা-মামলা-গ্রেফতার-নির্যাতন করে নেতাকর্মীদের দমন করা যাবে না। আপনার ময়ূর সিংহাসন লুটেপুটে ভেঙে চুরমার করে দেবে জনগণ। একনায়কতন্ত্র কায়েম করে হিটলার-মুসোলিনিরা রেহাই পায়নি, আপনিও পাবেন না। অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন, বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দিন। সুমনসহ সকল রাজবন্দীদের মুক্তি দিন।’
এসময় শিমুল বিশ্বাস বলেন, ‘সুমনদের গ্রেফতার করে শেখ হাসিনা ক্ষমা ধরে রাখতে পারবেন না। ষড়যন্ত্র করে ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে পারবে না। জনগণ আপনাদের ক্ষমতা থেকে টেনে নামাবে।’
মিছিলে আরও অংশ নেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, দলের সহ শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান, মামুন মোল্লা, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, ওলামা দলের আহ্বায়ক সেলিম রেজা, সদস্য সচিব আবুল হোসেন, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, যুগ্ম আহ্বায়ক রানা, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি ডা. জাহিদুল কবির, শ্রমিক দলের সবুজ, শাহ আলম, যুবদলের মেহেবুব মাসুম শান্ত, ছাত্রদলের ডা. আউয়াল, মাসুদুর রহমান, রাজু আহমেদ, ইমাম হোসেনসহ শ্রমিক দলের পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী।