কোটার বিরোধিতা করে বিএনপি যে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী তার প্রমাণ দিয়েছে: কাদের

ফাইল ছবি। ফেসবুক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘কোটাবিরোধী আন্দোলনকে সরকারবিরোধী আন্দোলনের রূপ দেওয়ার চেষ্টা করছে বিএনপি। ফখরুল বলেছেন মুক্তিযোদ্ধাদের কোটার দরকার নেই। তাদের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান নেই। কোটার বিরোধিতা করে বিএনপি মুক্তিযুদ্ধবিরোধী তার প্রমাণ আবারও দিয়েছে।’

আজ বৃস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকেলে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডি রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপিসহ কিছু দল আন্দোলনকে সমথর্ন জানিয়েছে। তারা শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক ফাঁদে ফেলে আন্দোলনের ব্যর্থতা পেছনে রেখে নতুন আন্দোলন পাঁয়তারা করছে।’
 
তিনি বলেন, ‘কোটা সংস্কারের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থা দিয়েছেন। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধারণ করে আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার আহ্বান জানিয়েছিলাম। বিষয়টি নিয়ে যখন বিচারিক প্রক্রিয়া চলমান, তার প্রতি কোনো প্রকার সম্মান না করে আন্দোলনকারীরা বাংলা ব্লকেড নামে মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা জনজীবনকে জিম্মি করে আইনি পন্থায় না গিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের বিরুদ্ধে শক্তি প্রদর্শন করছে, যা অনভিপ্রেত ও সম্পূর্ণ বেআইনি।’

সুপ্রিম কোর্ট সংবিধানের অভিভাবক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই সংবিধানই দেশের সর্বোচ্চ আইন। সর্বোচ্চ আদালত যখন সরকার পক্ষ, আন্দোলনকারী ও মামলাকারী সকলের বক্তব্য শুনে এই বিষয়ের চূড়ান্ত বিচারিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছেন, ঠিক সেই মুহূর্তে আন্দোলনের নামে জনগণের চলাফেরায় বাধা সৃষ্টি বেআইনি।’

তিনি বলেন, ‘অন্যদিকে কোনো কোনো রাজনৈতিক দল তাদের রাজনৈতিক স্বার্থকে চরিতার্থ করার জন্য প্ররোচনা দিচ্ছে। বিএনপিসহ কিছু দল প্রকাশ্যেই কোটা আন্দোলনের প্রতি তাদের সমর্থন জানিয়েছে, এটা নিয়ে রাজনীতি করা শুরু করেছে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক ফাঁদে ফেলে তাদের অতীতের আন্দোলনের ব্যর্থতা পেছনে রেখে, তারা নতুন করে আন্দোলন করার পাঁয়তারা করছে। কোটাবিরোধী আন্দোলনকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ দেওয়ার চেষ্টা করছে।’ 

কাদের বলেন, ‘অবাক লাগে, মির্জা ফখরুল প্রকাশ্যেই বলছেন, মুক্তিযোদ্ধাদের কোটার কোনো দরকার নেই। এর থেকে বোঝা যায় এদের মুক্তিযুদ্ধের প্রতি কোনো সম্মানবোধ নেই। তারা বিশ্বাসী এটা মনে করার কোনো কারণ নেই। তারা মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধেই ছিল, এর প্রমাণ তারা নতুন করে রাখল।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, আনোয়ার হোসেন, কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ প্রমুখ।