খুলনার খালিশপুরে নিজ বাড়িতেই অসামাজিক কার্যকলাপ, আসামি ছিনতাই ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে আটককৃত কৃষক লীগ নেত্রী হালিমা রহমানকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

রোববার কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির দফতর সম্পাদক রেজাউল করিম রেজার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ বহিষ্কারের নির্দেশ দেওয়া হয়।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ ও সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতির নির্দেশক্রমে জানানো যাচ্ছে যে, গত ৩-৪ দিন ধরে জাতীয় পত্র-পত্রিকায় ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপনার (হালিমা রহমান) নামে কতিপয় খবর ভাইরাল হয়েছে, আপনি নানাবিধ অসামাজিক কার্যকলাপ ও রাষ্ট্রীয় আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে জড়িত হয়ে পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন।

আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য সব সহযোগী ও অঙ্গসংগঠন আপনার উক্ত ঘটনার জন্য বিব্রত। কৃষক লীগের প্রাথমিক সদস্যসহ সব পদ থেকে ১৪ জুলাই আপনাকে বহিষ্কার করেছেন কৃষক লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। আপনি সংগঠনের পক্ষে কোনো সভা সমাবেশে যোগদান করতে পারবেন না বা প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন না। বিষয়টি অবিলম্বে কার্যকর হবে।

জানা গেছে, গত ১১ জুলাই রাত সাড়ে ১১টায় হালিমা রহমানের বহুতল ভবনে মাদক ও ধর্ষণকারীসহ একাধিক মামলার আসামিরা আত্মগোপন করে ছিলেন- এমন তথ্যে খালিশপুর থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম তার বাসায় অভিযানে যায়। এ সময় হালিমাসহ বেশ কিছু তৃতীয় লিঙ্গের কর্মী সমর্থকরা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে এক আসামি ছিনিয়ে নেয়। প্রায় এক ঘণ্টা ভবনের লিফটে পুলিশকে আটকে রাখা হয়।

পরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ সময় তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। এ ঘটনায় হালিমা রহমানসহ ১৫ জনকে আটক করে পুলিশ। সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মামলায় ১ নম্বর আসামি করা হয় হালিমা রহমানকে।