ঢাবি ছাত্রলীগে পদত্যাগের হিড়িক

ছাত্রলীগে পদত্যাগের হিড়িক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের ছয় নেতা পদত্যাগ করেছেন। এ ছাড়া সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের অবমাননা করা হয়েছে দাবি করে রাতে বিভিন্ন হলে মিছিল করছেন শিক্ষার্থীরা।

রোববার রাতে নিজ নিজ ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট দিয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দেন ঢাবি ছাত্রলীগের পদধারী ছয় নেতা।

পদত্যাগ করা ছাত্রলীগের নেতারা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ শাখার গণযোগাযোগ ও উন্নয়ন সম্পাদক মাছুম শাহরিয়ার, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট শাখার মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণাবিষয়ক উপসম্পাদক রাতুল আহমেদ ওরফে শ্রাবণ, কলাভবন ছাত্রলীগের এক নম্বর সহসম্পাদক মো. মুহাইমিনুল ইসলাম, আইন অনুষদ শাখার গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক আশিকুর রহমান ওরফে জিম, কবি জসীমউদ্দীন হলের রাসেল হোসেন এবং রাফিউল ইসলাম রাফি। 

মুহাইমিনুল ইসলাম ফেসবুকে লিখেছেন, ‘পদত্যাগ করলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলাভবন শাখা ছাত্রলীগের এক নম্বর সহসম্পাদক পদ থেকে।’

আশিকুর রহমান জিম তার পোস্টে লিখেছেন, ‘আমি আশিকুর রহমান জীম, মাস্টার দ্য সূর্যসেন হল ছাত্রলীগের কার্যকরী সদস্য থেকে পদত্যাগ ঘোষণা করছি এবং আইন অনুষদ ছাত্রলীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক থেকে পদত্যাগ ঘোষণা করছি।’

একই পোস্ট দিয়ে কবে জসীমউদ্দীন হলে রাসেল হোসেন এবং রাফিউল ইসলাম রাফি পদত্যাগ করেছেন। দুজনই লিখেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কবি জসিম উদদীন হল শাখা থেকে নিজেকে বহিষ্কার করলাম। কারণ আমি রাজাকারের নাতি। আমাকে কোনো প্রোগ্রামে কেউ ডাকবেন না। ইটস লাউড এন্ড ক্লিয়ার।

গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের করা এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনিরা কোটা পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতিরা কোটা পাবে? তা তো আমরা দিতে পারি না।

সরকারপ্রধানের এমন বক্তব্যের পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন কোটার বিরোধিতা করে আন্দোলন করা শিক্ষার্থীরা। গতকাল গভীর রাত পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। রাতে ছাত্রলীগের ছয় নেতা পদত্যাগের ঘোষণা দেন।