ছাত্রদের ওপর নারকীয় হামলা ও নির্যাতনের প্রতিবাদ এবি পার্টির

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের নারকীয় হামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)।

আজ সোমবার এক বিবৃতিতে এবি পার্টির আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী ও সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ছাত্ররা সরকারের করা প্রজ্ঞাপনের পক্ষেই আন্দোলন করছিল। সরকার পক্ষের আইনজীবীরা আদালতে কোটা বাতিলের পক্ষেই যুক্তিতর্ক তুলে ধরার কথা। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে সরকার দলীয় নেতারা বৈষম্যমূলক কোটার পক্ষে অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলেছেন।

তারা বলেন, সবশেষে জনসমর্থনহীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে ছাত্রদেরকে পরিকল্পিতভাবে উত্তেজিত করেছেন। আজ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সরাসরি নির্দেশ দিয়ে ছাত্রলীগের অস্ত্রধারীদের সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর নৃশংস কায়দায় ঝাপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করেছেন।

এবি পার্টির নেতারা বলেন, বর্তমান ফ্যাসিবাদ সরকার সবসময় নির্যাতনের মাধ্যমে যৌক্তিক আন্দোলনকে দমন করে থাকে। এর আগে নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত কিশোর ছাত্রদের ওপরও তারা ছাত্রলীগের হেলমেট বাহিনী লেলিয়ে দিয়েছিল। আজও একই রকমভাবে বিপুল সংখ্যক বহিরাগত কিশোর গ্যাং ও যুবলীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের দিয়ে দুই শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীকে আহত করা হয়েছে। তারা ছাত্রীদের ওপরও নির্মম নির্যাতন চালিয়েছে এমনকি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাওয়া আহত ছাত্রদের ওপরও নির্দয় আক্রমণ করেছে।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ সরকারের প্রতি হামলা, মামলা, আদালতকে হীনস্বার্থে ব্যবহার ও দমন-পীড়নের পথ পরিহার করার দাবি জানান। পাশাপাশি অবিলম্বে সমাজের অনগ্রসর শ্রেণি, প্রতিবন্ধী, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানসহ আদিবাসীদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা রেখে বাকী ৯৫ শতাংশ মেধাবীদের জন্য উম্মুক্ত করার মাধ্যমে কোটা সংস্কারের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়া এবং হামলাকারীদের বিচারের দাবি করেন।