রক্তের উপর দিয়ে হেটে সরকারের সাথে কোন সংলাপ হতে পারেনা: রাশেদ খাঁন 

শিক্ষার্থীদের রক্তের উপর দিয়ে হেটে সরকারের সাথে কোন সংলাপ হতে পারেনা। একদিকে আপনি পুলিশকে গুলি চালানোর নির্দেশ দিচ্ছেন, অন্যদিকে সংলাপের আহ্বান করছেন। ছাত্রসমাজ এই সংলাপ প্রত্যাখ্যান করেছে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নামে হয়রানিমূলক মামলা, গ্রেফতার, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পুলিশি হামলা ও অভিযান এবং শিক্ষার্থী হত্যার প্রতিবাদে ' বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার' ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন বলেন

সমাবেশে তিনি বলেন, আজকেও বিভিন্ন জায়গায় গুলি চালিয়ে ছাত্রদের হত্যা করা হয়েছে, মিছিলে বর্বর হামলা করা হয়েছে। ছাত্রসমাজের এই শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ, ছাত্রলীগ - যুবলীগ বর্বর হামলা করে সরকার তার ফ্যাসিস্ট মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে। যেকারণে ছাত্রসমাজ এই সরকারের কাছে আর কোন দাবি করতে চায়না। তারা এখন এই রাষ্ট্রের মেরামত করতে চায়। তাদের এই দাবি অযৌক্তিক ও অন্যায় নয়। যে সরকার মানুষ মারে, গুলি চালাতে দ্বিধা করেনা, সে সরকার জনগণের সরকার হতে পারেনা।

২০১৮ সালে যারা কোটা সংস্কার আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা ২০২৪ সালের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সাথে রয়েছি। পুরো দেশবাসী তাদের সাথে আছে। তাদের উপর দমন-পীড়ন বন্ধ করতে হবে। এবং ছাত্রদের নামে যে মামলা হয়েছে অনতিবিলম্বে তা প্রত্যাহার করতে হবে। ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতারকে মুক্তি দিতে হবে। অন্যথায় এই আন্দোলন থামানো যাবেনা। ইতিহাস বলে ছাত্র আন্দোলন কখনো ব্যর্থ হয়নি। 

উচ্চতর পরিষদের সদস্য নূরে এরশাদ সিদ্দিকি বলেন, ছাত্রসমাজের সাথে প্রতারণা করে কেউ রেহাই পাবেনা। তাদের দাবি মেনে নিন। আর হত্যাকারী ও হুকুমদাতাদের গ্রেফতার করুন, অন্যথায় এই আন্দোলন গণআন্দোলনে রুপ নিবে।

উচ্চতর পরিষদের সদস্য ফাতেমা তাসনীম বলেন, বহুত তালবাহানা করেছেন, এইবার ক্ষমতা ছেড়ে বিদায় নেন। যে সরকার মানুষ মেরে হত্যা করে,সেই সরকার কোনভাবেই ক্ষমতায় থাকতে পারেনা। সরকারকে বলবো, বিপদ ঘনিয়ে আসার আগেই বিদায় নিন, নইলে জনগণ ক্ষেপে গেলে পালিয়ে যাওয়ার সময় পাবেন না।

গণঅধিকার পরিষদের, সহ- শ্রম বিষয়ক সম্পাদক সোহেল রানা সম্পদের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা  আলাউদ্দিন আল আজাদ, গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি নাজিম উদ্দীন প্রমূখ।