দেশে এখন প্রায় যুদ্ধাবস্থা, সারা বিশ্বে এই পরিস্থিতি তুলে ধরুন: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান । ফাইল ছবি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, হাসিনার খুনীবাহিনীর তাণ্ডবে দেশে প্রায় যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে। ছাত্রছাত্রীরা সারাদেশে হাসিনার খুনীবাহিনীর বিরুদ্ধে তুমুল প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। গণ প্রতিরোধ সামাল দিতে সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধ করে দিয়েছে। বেসরকারি গণমাধ্যমেও দেশের প্রকৃত চিত্র প্রচার করতে পারছেনা। বৃহস্পতিবার থেকে বাংলাদেশে ইন্টারনেট সার্ভিস এবং মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ফলে দেশের অভ্যন্তরে একের সঙ্গে অপরের কিংবা এক এলাকা থেকে আরেক এলাকায় যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। বহির্বিশ্ব থেকেও বাংলাদেশ এই মুহূর্তে সম্পূর্ণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

বৃহস্পতিবার এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, আমি বাংলাদেশে অবস্থিত বিএনপি সহ গনতন্ত্রের পক্ষের সকল রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী এবং সাধারণ মানুষকে এই বর্বর হানাদার বাহিনীর হাত থেকে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে তাদের সকল প্রকার সহযোগিতা করার জন্য এবং এই আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আহবান জানাচ্ছি। আপনাদের সকল শক্তি দিয়ে ছাত্র-জনতার এই আন্দোলনকে সফল করুন। পাপের ভারে ন্যুব্জ হাসিনা এবং তার দুর্নীতিবাজ ও মনবাধিকার বিরোধী সহযোগীদের পতন অনিবার্য।

তিনি বলেন, আশংকা করছি, বাংলাদেশকে বহির্বিশ্ব এবং একইসঙ্গে দেশের অভ্যন্তরে এক এলাকা থেকে আরেক এলাকার যোগাযোগ নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে সারাদেশে ছাত্রছাত্রী এবং তাদের অভিভাবকদের উপর ক্র্যাকডাউন চালানো হচ্ছে। দেশের নিরস্ত্র ছাত্রছাত্রী এবং তাদের অভিভাবকদের উপর হাসিনার খুনি বাহিনীর ক্র্যাকডাউন ৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাতের ক্রাকডাউনকেও হার মানাতে চলেছে। বিভিন্ন সূত্র বলছে, হাসিনার খুনীবাহিনী রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহর নগর বন্দরে টহল দিচ্ছে। ছাত্রী ছাত্রী এবং তাদের অভিভাবকদেরকে হয়রানি করছে। অনেককে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। গ্রেফতার করছে। নির্যাতন করছে।

প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় প্রবাসী বাংলাদেশিরা স্বাধীনতাকামী মানুষের উপর হানাদারবাহিনীর নির্যাতন নিপীড়ণের কথা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার, জনপ্রতিনিধি, মানবাধিকার সংগঠনসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে তুলে ধরেছিলেন। বর্তমান বাংলাদেশেও প্রায় একই পরিস্থিতি বিরাজমান। বাংলাদেশের জনগণ সকল সাংবিধানিক গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক অধিকার হারিয়েছে। সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা কোটা সংস্কারের দাবি জানালেও হাসিনা তাদেরকে হত্যা করছে। এর প্রতিবাদে ছাত্রছাত্রীরা হাসিনার খুনীবাহিনীর বিরুদ্ধে সাধ্যমতো তুমুল প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। ৭১ সালে ছিল স্বাধীনতা অর্জনের লড়াই আর এবার দেশ এবং জনগণের স্বাধীনতা রক্ষার লড়াই।

"সুতরাং, প্রবাসী বাংলাদেশী সকল ভাই বোনদের প্রতি আহবান, আপনারা যারা যে দেশে রয়েছেন, সে দেশের সরকার, সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলোর কাছে বাংলাদেশে বিরাজমান ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা তুলে ধরুন। সঠিক সময়ে আপনাদের সঠিক তৎপরতা এবং বিচক্ষণ সিদ্ধান্তের কারণে খুনি হাসিনার হাত থেকে রক্ষা পেতে পারে আপনার ভাই বোন বন্ধু স্বজনের প্রাণ। বেঁচে যেতে পারে একটি পরিবার। এমনকি সুসংহত হতে পারে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব।"