অবিলম্বে কারফিউ প্রত্যাহার, বিজিবি ও সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফেরত পাঠাতে হবে: বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের জাতীয় নেতৃবৃন্দ

সারাদেশে শত শত ছাত্র-জনতাকে খুন করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনের অপপ্রয়াসের পর সরকার বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের গ্রেফতারে চিরুনি অভিযান শুরু করেছে দাবি করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের জাতীয় নেতৃবৃন্দ। আজ শুক্রবার  গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ এই দাবি জানান তারা।

বিবৃতিতে আন্দোলনে কত সংখ্যক ছাত্র- জনতাকে নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে তার সঠিক পরিসংখ্যা দাবি করে তারা বলেন, হত্যাকান্ডের বিষয়টি পাশ কাটিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের অপরাধ ঢাকা যাবেনা। আন্দোলনের সময় পুড়ে যাওয়া বা নষ্ট হয়ে যাওয়া সকল সম্পদ জনগণের, তা জনগণের টাকায় কেনা, সেই জনগণের বুকে গুলি চালিয়ে পুড়ে যাওয়া সম্পদের ছবি দেখিয়ে কারও সহানুভূতি কি সরকার পেতে পারে? নেতৃবৃন্দ এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু ও এলডিপি সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন সেলিমের বাসায় পুলিশী তল্লাশি ও হয়রানির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। এসময় তারা অবিলম্বে পূর্ণ ইন্টারনেট সেবা চালু, কারফিউ প্রত্যাহার করে বিজিবি ও সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি জানান। 

জাতীয় নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, আজ প্রেসক্লাবে সাংস্কৃতিক কর্মীরা সমাবেশ শুরু পুলিশ তাদের মাইক কেরে নেয়। এই ধরনের জুলুম বাংলাদেশে চলতে পারেনা। তারা পুলিশের এহেন আচরণের তীব্র প্রতিবাদ জানান। তারা জনগণকে সংঘবদ্ধ ভাবে এই জালিম সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহবান জানান।

যুক্ত বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন জেএসডি’র সভাপতি আসম আব্দুর রব, ১২ দলীয় জোটের প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইউম, এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, গণফোরামের সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ফয়জুল হাকিম লালা, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বাংলাদেশ এলডিপি’র সেক্রেটারি শাহাদাত হোসেন সেলিম, এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক কর্ণেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান, গণঅধিকার পরিষদের সেক্রেটারি রাশেদ খান প্রমূখ।