দুষ্কৃতিকারীদের সেনাবাহিনীর কাছে তুলে দিন: রিজভী

ফাইল ছবি

দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দুষ্কৃতকারীদের চিহ্নিত করে সেনাবাহিনীর কাছে তুলে দিন।

তিনি বলেন, আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে। অনেক দুষ্কৃতকারী বিএনপির নাম ভাঙিয়ে পাড়া-মহল্লায় বাসাবাড়ি, কলকারখানা ভাঙচুর করছে, নানা ধরনের অপতৎপরতা চালাচ্ছে। গণতন্ত্রের এই অর্জনকে বিনষ্ট করার জন্য নানা তৎপরতা চালাচ্ছে। বিভিন্ন মসজিদ-মন্দিরে হামলা চালানোর চেষ্টা করছে। এই অপতৎপরতাকারীদের চিহ্নিত করে সেনাবাহিনীর কাছে তুলে দিতে হবে। 

রিজভী বলেন, আমাদের আরো কিছু কাজ রয়েছে। বাংলাদেশকে একটি সুষ্ঠু রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার যে দায়িত্ব সেটা আমাদের করতে হবে। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারী, চক্রান্তকারীরা থেমে নেই। যারা বাকশাল কায়েমকারী গোটা জাতির গলায় ফাঁসির দড়ি পরিয়েছিল তারা আজ পালিয়ে গেছে। এখন এই দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে আমাদেরকে আরো কিছু কাজ করতে হবে।

শনিবার (১০ আগস্ট) বিকেলে ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে প্রধান বিচারপতির অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, যে গণতন্ত্রের জন্য আমাদের লড়াই, মুক্তকণ্ঠে কথা বলার জন্য আমাদের যে লড়াই, আত্মত্যাগ সেই আত্মত্যাগ আমাদের সার্থক হবে সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে। গণতন্ত্রের মহীয়সী নারী, গণতন্ত্রের প্রতীক, যিনি বারবার আঘাত সহ্য করেও মৃত্যুশয্যায় থেকেও গণতন্ত্রের লড়াইয়ে জনগণকে আশ্বস্ত করেছেন, সেই নেত্রী আজ মুক্তি পেয়েছে। আমরা যার জন্য দীর্ঘদিন অপেক্ষা করছি আমাদের সেই নেতা তারেক রহমান যার নামে অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে সাজা দিয়েছে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত ছিল জাতীয়তাবাদকে ধ্বংস করার, কিন্তু পারেনি। এখন আমাদের প্রিয় নেতা দেশনায়ক তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, সবাইকে পাড়া মহল্লায় সতর্ক থাকতে হবে। আওয়ামী লীগের দুষ্কৃতকারীরা এই মুহূর্তে দলে ঢোকার চেষ্টা করবে। আপনারা কঠোর দৃষ্টি রাখবেন কোন দুষ্কৃতকারী ওয়ার্ড থেকে থানা ইউনিয়ন কোন জায়গায় যেন না ঢুকতে পারে।

তিনি বলেন, আমরা মানবকল্যাণে কাজ করা রাজনৈতিক দল। আমরা অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে আমাদের দায়িত্ব পালন করব।

এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি রফিকুল আলম মজনু, উত্তরের সভাপতি সাইফুল আলম নিরব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।