মার্চ টু ধানমন্ডি ৩২

টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠনের পর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতন হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের। ইতিহাস গড়ে সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা ছোট বোন রেহানাকে নিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন। যে কারণে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যক্রম কার্যত বিলুপ্ত হয়ে গেছে। দলীয় সংকট নিরসনে আগামী ১৫ আগস্ট শোক দিবসকে লক্ষ্য করে দলটি রাজপথে নামার সিদ্ধান্ত নিয়ে বিভিন্ন প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছে।

রবিবার (১১ আগস্ট) বিকেল থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দলটি ‘১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস, মার্চ টু ধানমন্ডি ৩২,‌ দলে দলে যোগ দিন সফল করুন’ লেখা ব্যানার ও ফেস্টুন ছড়িয়ে দিচ্ছে।

এবার সরকার পতনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল হিসেবে সৃষ্টির পর অন্যতম ভয়াবহ সংকটে পড়েছে। গত ৫ আগস্ট দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা এক কাপড়ে সামরিক একটি বিমানে উঠে ভারতে পালিয়ে যান। তার আগে থেকে দলটির সাবেক ও বর্তমান অনেক এমপি-মন্ত্রী এবং শুভাকাঙ্ক্ষী দেশ ত্যাগ করেছেন।

সরকার পতনের পর অনেকেই পালাতে গিয়ে আটক হয়েছেন। দলটির সাংগঠনিক কাঠামো ঠিক রাখতে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা নিজে থেকে মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন। সবাইকে ১৫ আগস্ট রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতীয় শোক দিবস অনুষ্ঠান পালন করার কথা বলছেন।

এছাড়াও গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বড় জমায়েত করতে স্থানীয় নেতা-কর্মীরা উদ্যোগ নিচ্ছেন। এ জন্য স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন শীর্ষ নেতারা।

গোপালগঞ্জ জেলার আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ অনেকেই এখন পলাতক রয়েছেন। তবে আওয়ামী লীগের এক শ্রেণির নেতা-কর্মী রয়েছেন, যাদের কাছে শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগের থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গ্রহণযোগ্যতা অনেক বেশি। এই সমর্থক গোষ্ঠী ৯৬-এর পর থেকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে নেই। মূলত তারাই বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ১৫ আগস্ট জড়ো হবেন টুঙ্গিপাড়ায়।

তিনি আরও বলেন, সেদিন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী তার দলবল নিয়ে আসবেন বলে আমরা জানতে পেরেছি। গোপালগঞ্জবাসীর কাছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের যেকোনো দল বা ব্যক্তি গুরুত্বপূর্ণ অতিথি। যারা ১৫ আগস্ট টুঙ্গিপাড়া আসবেন, তাদের যত্ন ও আতিথেয়তায় আমরা কোনো ভুল করব না।