হাসিনা সরকার মেগা প্রকল্পের নামে লাখো কোটি টাকা পাচার করেছে: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, হাসিনা সরকার মেগা প্রকল্পের নামে লাখো কোটি টাকা পাচার করেছে। এটি আমার কথা নয়। সালমান এফ রহমানও জানিয়েছেন কীভাবে হাসিনা লাখ কোটি টাকা পাচার করেছেন।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘শেখ হাসিনা পরিবারের সদস্যরা বিদেশ থাকেন। তারা সেখানে কী করেন? কোথায় চাকরি করেন? কী তাদের টাকার উৎস? কাউকে জানানো হয়নি। দেশের টাকা লুট করে তারা বিলাসিতা করছেন। হাজার হাজার কোটি টাকা দিয়ে ব্যবসা করছেন। কোথায় পেয়েছেন সে টাকা?’
আজ সোমবার বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী প্রচার দল আয়োজিত দ্বিতীয় দফা লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে বন্যার্ত সহস্রাধিক পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মাহফুজ কবির মুক্তা।
রিজভী আহমেদ বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিজেদের পার্সেন্টেজ নিশ্চিত করতে নির্দিষ্ট ব্যবসায়ীকে সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছিল। গণমাধ্যমকে জোর করে নিজেদের করে নেওয়া হয়েছিল। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য হত্যা করা হয়েছে হাজারও ছাত্রজনতাকে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে হাসিনা বলেছিলেন- তোমরা তোমাদের কাজ চালিয়ে যাও, গুলি করো। আমি তোমাদের প্রোটেকশন দেব। তাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্দ্বিধায় হত্যাকা- ঘটিয়েছে। গণহত্যা চালিয়েছে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আবু সাঈদের মতো ছেলে, মুগ্ধর মতো মেধাবী ছেলে, ছয় বছরের শিশু সন্তানকেও তারা গুলি করে ঝাঁঝরা করে দিয়েছে।
রিজভী আহমেদ ভারতের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনারাতো গণতান্ত্রিক দেশ। যে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দেশের শিশু-কিশোরদের হত্যা করেছে, সেই হাসিনাকে আপনারা সমর্থন দিয়ে গেলেন! যে হাসিনা দেশ থেকে লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে তাকে আপনারা সমর্থন দিয়ে গেলেন? তারা দেশের বিচার বিভাগসহ রাষ্ট্রের সকল স্তম্ভ ধ্বংস করেছে, জনগণের বাকস্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। যারা কোলে করে মানুষ করেছে তাদের বিচারপতি, নির্বাচন কমিশনারসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়ে দেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছে, এমন একটি ব্যক্তিকে আপনারা আশ্রয় দিলেন? আপনারা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হয়েও বাংলাদেশের জনগণের জন্য আপনাদের একটুও মায়া হলো না? আপনাদের মানবতার অধিকার জাগ্রত হলো না?’
তিনি বলেন, ‘আমরা আন্দোলন করেছি, কিন্তু শেখ হাসিনার ভয়ে তার কাছে আত্মসমর্পণ করিনি। শেখ হাসিনা আমাদেরকে কারাগারে প্রেরণ করেছে আমরা কারাগার থেকে বের হয়ে আবার এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে আমাদের কণ্ঠকে আমরা মুক্তকণ্ঠ করেছি। আন্দোলন থেকে আমরা পিছপা হইনি।’