হাসিনার ঘনিষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে: রিজভী
পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগী হিসেবে সচিবসহ বেশ কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা সারা দেশে বিশৃঙ্খলা ও নাশকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী ও সহযোগীদের এখনো সরানো হয়নি। তারা এখনো প্রশাসনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল রয়েছেন।’
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই অভিযোগ করেন।
রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দায়িত্ব পালন করা কিছু সচিব ও কর্মকর্তা এখনো তাদের প্রভাবসহ প্রশাসনে রয়েছেন। ‘তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে এবং নানাভাবে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
শেখ হাসিনার সহযোগীদের দেশকে অস্থিতিশীল করার যে কোনো অপচেষ্টা প্রতিহত করতে এবং সতর্ক থাকতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সংসদ ভেঙে দেয় এবং ইউনিয়ন পরিষদ ব্যতীত স্থানীয় সরকার সংস্থায় নির্বাচিতদের অপসারণ করেছে।
তিনি বলেন,‘ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানরা এখনো বহাল আছেন কেন? এই চেয়ারম্যানরা আওয়ামী লীগের সহযোগী, যারা গণতন্ত্রপন্থী কর্মীদের হত্যাকাণ্ডে জড়িত। তাদের কেউই শেখ হাসিনা নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে কেউ নির্বাচিত হননি। তাহলে এই ইউনিয়ন চেয়ারম্যানরা কীভাবে এখনও পদে রয়েছেন?’
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক ছাত্র নেতৃত্বাধীন গণআন্দোলনে ঢাকার পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলেও বহু মানুষ নিহত হয়েছেন এবং এসব ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানরা এসব হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। পুলিশি নিরাপত্তায় তারা আমাদের দলের সদস্যদের ওপর গুলি চালায়। তারা কীভাবে তাদের পদে রয়েছেন?'
বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ আহমেদ আলী মুকিবকে সঙ্গে নিয়ে জিয়ার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রিজভী।
দেশের টাকাশেখ হাসিনার নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, তিনি বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন এবং তা বিদেশে পাচার করেছেন।
বিএনপি নেতা বলেন, তার (শেখ হাসিনা) শাসনামলে নিজের আত্মীয়-স্বজন, এমপি, মন্ত্রী ও ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে ১ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। কোনো রাজনৈতিক দল যাতে জনগণের ওপর জুলুম ও ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করতে না পারে সেজন্য শেখ হাসিনার দুর্নীতি ও গুম ও হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’
তিনি অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনা এস আলমের মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচারের সুবিধা দিয়েছিলেন এটা জেনেই যে তাকে যদি কখনো পালাতে হয় তাহলে সেই অর্থ তার কাছে পাওয়া যাবে।