আন্দোলনে পাবনায় হতাহতদের পরিবারের খোঁজ নিলেন তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শিক্ষার্থী-জনতার আন্দোলন চলাকালে পাবনা জেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে নিহত ও আহতদের পরিবারের সদস্যদের খোঁজ-খবর নিয়েছেন। ‘আমরা বিএনপি পরিবার’র একটি প্রতিনিধি দল তারেক রহমানের নির্দেশনায় আজ সোমবার সকালে পাবনা সদর উপজেলার হাজিরহাট বেতেপাড়ায় এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিবারগুলোর সাথে দেখা করে তাদের খোঁজ-খবর নেয়। এ সময় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা তারেক রহমানের পক্ষে নিহত ও আহতদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি সহমর্মিতা জ্ঞাপন করেন।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও পাবনা জেলা বিএনপির সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, পাবনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব, ‘আমরা বিএনপি পরিবার’র উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন, মৌলভীবাজার বিএনপির উপদেষ্টা ও কাতার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুল হক সাজু এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
পাবনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাসুদ খন্দকার, ‘আমরা বিএনপি পরিবার’র সদস্য মাসুদ রানা লিটন ও মুস্তাকিম বিল্লাহ, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি জামিল হোসেনসহ পাবনা জেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও সেচ্ছাসেবক দলের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
পাবনা জেলা প্রশাসনের হিসেব অনুযায়ী, গণঅভ্যুত্থান চলাকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে পাবনা জেলায় নিহতদের (শহিদ) তালিকায় রয়েছেন জাহিদুল ইসলাম ও মাহবুব হাসান নিলয়। আহতদের তালিকায় রয়েছেন সাজ্জাদ হোসেন অনিক, আরাফাত ও মাহমুদুল হাসান।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান চলতি বছরের জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও এরই ধারাবাহিকতায় শিক্ষার্থী-জনতার সম্মিলিত অংশগ্রহণে সৃষ্ট গণঅভ্যুত্থানের সময়ে সারদেশে নিহত ও আহতদের পরিবারের সদস্যদের খোঁজ-খবর নেওয়া অব্যাহত রেখেছেন।
‘আমরা বিএনপি পরিবার’ নামে একটি সেলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বিভিন্ন জেলায় এই সেলের প্রতিনিধি দল পাঠিয়ে তাদের মাধ্যমে আন্দোলনে নিহত-আহতদের পরিবারের সদস্যদের খোঁজ-খবর রাখছেন তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় আজ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আন্দোলনকালে পাবনা জেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে নিহত ও আহতদের পরিবারের সদস্যদের খোঁজ-খবর নিলেন।
এর আগে তারেক রহমান ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ সেলের প্রতিনিধি দলের মাধ্যমে রাজশাহীসহ কয়েকটি জেলার নিহত ও আহদের পরিবারের সদস্যদের খোঁজ খবর নিয়েছেন এবং আর্থিক অনুদানও দিয়েছেন।