আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই, নিষিদ্ধ হওয়া উচিত: অলি আহমদ
লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি ড. কর্নেল (অব.) ওলি আহমদ বলেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা উচিত। জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে দেশের ১৮ কোটি মানুষের বিরুদ্ধে তাদের যে ভূমিকা ছিল, এরপর তাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই।
শনিবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুসের সঙ্গে সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
অলি বলেন, ‘কেন আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হবে না? আমরা আজ আবার বলেছি, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা উচিত কারণ তারা ১৮ কোটি মানুষের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল। তাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই।’
বিএনপি-জামায়াত সরকারের সময় যোগাযোগমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করা ওলি আহমদ বলেন, ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখতে পুলিশ ও প্রশাসনসহ সবকিছু ব্যবহার করেছে আওয়ামী লীগ।
তিনি বলেন, সেনাবাহিনী ও কিছু পুলিশ প্রতিবাদ চলাকালে গুলি চালাতে অস্বীকৃতি জানানোয় তারা টিকতে পারেনি।
তার মতে, এই আন্দোলনে ১৫০০ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণ গেছে এবং বহু মানুষ আহত হয়েছে।
ওলি বলেন, আজ তারা ২৩টি প্রস্তাব দিয়েছেন। এর মধ্যে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধির সমাধানের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।
গত ৫ অক্টোবর বিএনপি, জামায়াত, সিপিবিসহ কয়েকটি দলের অংশগ্রহণে শুরু হওয়া চলতি পর্বে এটি দ্বিতীয় সংলাপ।
গণফোরাম, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (আন্দালিব) সহ ১৫টি রাজনৈতিক দলকে আজকের সংলাপে অংশ নিতে আমন্ত্রণ আজানো হয়েছে।
সংলাপের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সংস্কার কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে রাজনৈতিক দলগুলোকে জানানো এবং তাদের পরামর্শ নেওয়া।
এছাড়া রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেয় গণফোরামের নয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
গণফোরামের ইমেরিটাস সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি বিকেল ৩টার দিকে যমুনায় প্রবেশ করে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার প্রধান মিত্র জাতীয় পার্টি (এরশাদ) ছাড়া প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে চলমান সংলাপে অংশ নেওয়ার সুযোগ ছিল প্রায় সব রাজনৈতিক দলের।
এদিকে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বেই নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করা হবে।
বৃহস্পতিবার রাতে এক টিভি অনুষ্ঠানে দেওয়া তার বক্তব্যের ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, 'এটা (নির্বাচনের সময়) ঘোষণা করার এখতিয়ার একমাত্র তারই আছে।’
তবে ২০২৫ সালের মধ্যেই নির্বাচন আয়োজন করা হতে পারে বলেও তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন।