আন্দোলনে নির্বিচারে গুলির নির্দেশ দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা: মান্না
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, শেখ হাসিনা জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে নির্বিচারে মানুষকে গুলির নির্দেশ দিয়েছিলেন। ৩ আগস্ট তিনি সেনাপ্রধানকে এই নির্দেশ দেন ও বিমান বাহিনী প্রধানকে বলেছিলেন যত হেলিকপ্টার লাগে নামাও ভয় দেখাও। কিন্তু তারা বলেছিলেন সম্ভব নয় ম্যাডাম। কারণ একজন মারা গেলে শতশত ছাত্র জনতা এগিয়ে আসে। ক্ষমতার এতই লিপ্সা যে শেখ হাসিনা মানুষকে গুলি করে মারতে একবারও চিন্তা করেননি।
তিনি বলেন, এই যে লড়াই এইরকম জীবন দান রক্তদান, এটা জীবন দিয়ে জীবন পাওয়ার লড়াই ছিল। জীবন দিয়ে জীবন বদলানোর লড়াই ছিল। দেশ বদলানোর লড়াই ছিল। সেই লড়াইকে আমরা পরাজিত হতে দিতে পারি না। সেই লড়াইয়ে জিততে হবে। এজন্য আমাদের সেই ধরনের দল, সেই ধরনের নেতৃত্ব গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, এই দেশে যতবার তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়েছে সেই ভোটে কোনো চুরি হয়নি। সবাই বলছে দেশ বদলানোর জন্য সংস্কার করতে হবে, অনেকে বলে আগে সংস্কার তারপর নির্বাচন আর আমি বলি সংস্কার ও নির্বাচন দুটোই একসঙ্গে। আমরা কেবল সরকার বদলের লড়াই করছি না আমরা দেশ বদলের লড়াই করছি। মানুষের ভাগ্য বদলানোর লড়াই করছি। আরও যারা দল আছে তারা যেন নিজেরা ভালো হয়ে যায়। দলের নেতারা যাতে নিজেরা নিজেদের পরিবর্তন করে। নেতারা যাতে মনে না করে আমরা দখল করে অর্থ কামাব। ওই সব দল দিয়ে দেশের কোনো কল্যাণ হবে না। এখন থেকে সেইসব দল নিজেরা বদলে যাবে না হলে জনগণ তাদের বদলে দিবে।
শনিবার (২ নভেম্বর) বিকেলে বগুড়া শহরের সাতমাথা মুক্ত মঞ্চে নাগরিক ঐক্য জেলা শাখার আয়োজনে গণ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
নাগরিক ঐক্য বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ মতিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন- নাগরিক ঐক্য কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার, কেন্দ্রীয় সদস্য আব্দুর রাজ্জাক তালুকদার সজীব।
গণ সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন- নাগরিক ঐক্য বগুড়া জেলার নেতা পিয়াল রহমান, সাইদুর রহমান, সাগর আহম্মেদ, মোহাম্মদ আলী সিদ্দিক, আবুল কালাম আজাদ, মামুনুর রশিদ, সাদ্দাম, পপি, শামীম, রফিকুল ইসলাম। সমাবেশ শেষে ১১ সদস্য বিশিষ্ট বগুড়া শহর কমিটি ঘোষণা করেন প্রধান অতিথি মাহমুদুর রহমান মান্না। এতে আহবায়ক হয়েছেন মোহাম্মদ আলী সিদ্দিক ও সদস্য সচিব আবুল কালাম আজাদ। এসময় প্রধান অতিথিকে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।