জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে পদক্ষেপ নিন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তারেক

অপশক্তির যেকোনো ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) নয়াপল্টনে এক বিশাল সমাবেশে তারেক রহমান এই আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, 'আমি স্বাধীনতাকামী মানুষকে একটি বিষয়ে সতর্ক করতে চাই, আমি নিজেও সজাগ থাকতে চাই যে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রবিরোধী অপশক্তির ষড়যন্ত্র এখনো বন্ধ হয়নি ‘

বিএনপির এই নেতা বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারকে দুর্বল করতে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সহযোগীরা এখনও দেশের প্রশাসনে, বিভিন্ন পদে এবং বিদেশেও সক্রিয় রয়েছেন।

তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি তার দলের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, এই প্রশাসনকে কখনও ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না।

তারেক বলেন, ‘তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি নিজেদের সতর্ক রাখতে চায়, তাহলে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। এটা এখন জনগণের দাবি।'

পরে 'জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস' উপলক্ষে রাজধানীতে বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করে দলটি।

বিকাল ৩টা ৩২ মিনিটে সমাবেশের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

এর আগে দুপুর থেকেই রঙিন টুপি পরে নয়াপল্টনে জড়ো হওয়া বিএনপি ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী বড় ধরনের শোডাউনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নেন।

দলের শীর্ষ নেতাদের ছবি সম্বলিত ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড নিয়ে তারা নির্বাচন ও তারেক রহমানসহ দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে স্লোগান দেন।

কাকরাইল মসজিদ ও ফকিরাপুল ও আশপাশের এলাকা বিএনপির সমর্থকদের পদচারণায় কানায় কানায় পূর্ণ থাকায় ওই এলাকায় যান চলাচল বিঘ্নিত হয়।

এটি কাকরাইল মোড়, কাকরাইল মসজিদ, মৎস্য ভবন, ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট, শাহবাগ, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার ও ফার্মগেট হয়ে মানিক মিয়া এভিনিউয়ে যাবে।

দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ভার্চুয়াল বক্তব্যের মাধ্যমে র‌্যালিটি সমাপ্ত হবে।

১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের 'সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থান' স্মরণে বৃহস্পতিবার 'জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস' পালন করে বিএনপি।

১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে সৈনিক ও বেসামরিক জনগণ যৌথভাবে তৎকালীন সেনাবাহিনী প্রধান জিয়াউর রহমানকে ঢাকা সেনানিবাসের বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে। এর মাধ্যমে তার ক্ষমতায় আরোহণের পথ প্রশস্ত হয়।