আওয়ামী লীগ আর গণতন্ত্র একসঙ্গে যায় না : তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গণতন্ত্রের পক্ষের সকল শক্তিকে সতর্ক থাকতে হবে জানিয়ে বলেছেন, আওয়ামী লীগ আর গণতন্ত্র একসঙ্গে যায় না। অপরদিকে বিএনপির কাছে গণতন্ত্র, বাক, ব্যক্তি ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিরাপদ।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সতর্ক করে বলেন, দেশের চলমান গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে এই মুহূর্তে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে। তবে বিতাড়িত অপশক্তি আর বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফিরতে পারবে না বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, ‘বিএনপি মনে করে সংস্কার কার্যক্রম কোনো শেষ হওয়ার বিষয় নয়। একজন সংস্কার কার্যক্রম শুরু করলে আরেকজন প্রয়োজনীয় সংস্কার এগিয়ে নিয়ে যায়। কারণ সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। তবে সরকারে কিংবা সরকারের বাইরে আমাদের প্রত্যেকের মনে রাখা দরকার, গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংস্কৃতির গুণগত উত্তরণ ছাড়া পুথিগত সংস্কার অনেকটা অকার্যকর।’
তারেক রহমান সোমবার (২৫ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) বার্ষিক সাধারণ সভায় ভার্চুয়্যালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সংস্কার আগে না নির্বাচন আগে- এ ধরনের প্রশ্ন তুলে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা চলছে। সংস্কার কার্যক্রম নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে বিএনপির কোনো বিরোধ নেই। সংস্কার আগে না নির্বাচন আগে- যারা এ ধরনের প্রশ্ন তুলে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন তাদের উদ্দেশ্য কিন্তু ভিন্ন। বিএনপি মনে করে, সংস্কার কার্যক্রম শেষ হওয়ার বিষয় নয়।’
তারেক রহমান বলেন, ‘স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে কমপক্ষে ছয়জন সাংবাদিক শহীদ হয়েছেন। পলাতক স্বৈরাচারের নির্দেশে কমপক্ষে দুই হাজারের বেশি ছাত্র-জনতাকে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের সংগঠনের প্রায় ৪০০ নেতা-কর্মী এই লড়াইয়ে নিহত হয়েছেন।’
সাংবাদিকতায় বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখা একান্ত জরুরি উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, পলাতক স্বৈরশাসকের সময় আমরা দেখেছি গণমাধ্যমের প্রতিটি শাখায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে বস্তুনিষ্ঠতা প্রায় হারিয়ে গিয়েছিল।
তিনি বলেন, লেখক, সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে যেকোনো বিষয়ে ভিন্নমত থাকতে পারে। এটি গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। কিন্তু ভিন্নমতকে দমন ও দলাদলিতে পরিণত করলে কী হতে পারে, তা গত দেড় দশকে দেশের জনগণ হাড়ে-হাড়ে টের পেয়েছে।
তারেক রহমান বলেন, গণতন্ত্রের পক্ষের সব শক্তি ও সাংবাদিকদের সতর্ক থাকা দরকার। চলমান গণতন্ত্রের যাত্রাকে বাধাগ্রস্থ করতে নানা রকম ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, পলাতক স্বৈরাচার ও তার দোসররা যাতে রাজনীতিতে পুনর্বাসিত না হতে পারে, সে জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করাও আমাদের কর্তব্য। সে জন্য আইনগত এবং রাজনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। তাদেরকে আদালতে বিচারের মুখোমুখি করা প্রয়োজন।