ফ্যাসিবাদী প্রত্যাবর্তনের পথ সুগম করবেন না: ফখরুল
ছাত্র নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বিশৃঙ্খলামূলক কর্মকাণ্ড ও অনৈক্যের কারণে ফ্যাসিবাদ ফিরে আসার আশঙ্কা রয়েছে বলে সতর্ক করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে মতবিনিময় সভায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ পরাজিত হয়েছে, কিন্তু যেকোনো সময় তারা ফিরে আসতে পারে। সেই পথ সুগম করে দেওয়া আমাদের উচিত নয়। দুঃখজনকভাবে আমরা এমন কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছি, যার ফলে তাদের ফিরে আসার যথেষ্ট সুযোগ তৈরি হয়েছে।’
'সংস্কারে লেখক ও শিল্পীদের ভূমিকা' শীর্ষক এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জাতীয় কবিতা পরিষদ।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ফ্যাসিবাদী শক্তি সুপরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। ‘কিন্তু আমরা যারা যুদ্ধ করেছিলাম তারা কেন এখন অনৈক্য সৃষ্টি করছি? বিভিন্ন জায়গা থেকে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য শুনলে আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। রাজপথের আন্দোলনের মাধ্যমে দেশকে ভিন্ন দিকে ঠেলে দেওয়ার প্রচেষ্টা চলছে।’
ফখরুল বলেন, জাতিকে এখন একটি মাত্র লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। প্রয়োজনীয় সংস্কার করে সংসদ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠন করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আমি বলতে চাই, আমাদের বিভেদ সৃষ্টি করা উচিত নয়। ঐক্য অটুট রেখে (গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে) এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। এটাও আমাদের দুর্ভাগ্য যে, স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও আমরা ক্ষমতার শান্তিপূর্ণ হস্তান্তর নিশ্চিত করতে পারিনি।’
কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে জাতিকে অনুপ্রাণিত করতে লেখক, শিল্পী ও বুদ্ধিজীবীসহ সর্বস্তরের মানুষকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।
ফখরুল বলেন, রাষ্ট্র পুনর্গঠনে লেখক-শিল্পীদের ভূমিকা দীর্ঘদিনের। কিন্তু হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনবিরোধী আন্দোলনে তা স্পষ্ট হয়নি।
তিনি আরও বলেন, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণ ও প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি লালন করা একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ। ‘সমাজের সর্বস্তরের মানুষের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমাদের এটি অর্জন করতে হবে।’