জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সক্ষম হয়নি অন্তর্বর্তী সরকার: আমিনুল হক
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেছেন, গত ১৭ বছর ধরে রাষ্ট্রীয় যন্ত্রগুলো আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসরদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। সেই নিয়ন্ত্রণ থেকে দেশ এখন পর্যন্ত পরিপূর্ণ ভাবে মুক্ত হতে পারেনি। তারা রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসে বাংলাদেশকে নিয়ে একটি অস্থিতিশীলতা তৈরি করার ষড়যন্ত্র করছে।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উত্তরার আজমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে উত্তরা পূর্ব থানা বিএনপির এক কর্মীসভা ও রাষ্ট্র মেরামতে বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা নিয়ে কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আমিনুল হক বলেন, গত ৫ আগস্টের পরে মানুষের যে প্রত্যাশা ও আশা নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সমর্থন দিয়েছিল। দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে দেশের মানুষ আন্দোলন সংগ্রাম করছে; তাদের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সংগ্রামের সফলতা চায়। জনগণের সেই প্রত্যাশা পূরণে তারা (অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) এখন পর্যন্ত সক্ষম হয়নি। কিন্তু আমরা খেয়াল করছি- জনগণের প্রত্যাশা পূরণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ধীর গতিতে চলছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা সংস্কার করছেন ভালো কথা, আমাদের নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জাতির সামনে রাষ্ট্র সংস্কার ও মেরামতের ৩১ দফার একটা রূপরেখা দিয়েছেন। আমাদের এই রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফায় যদি আপনাদের কোন মতামত থাকে সেটা আলোচনার মাধ্যমে বসে আমরা বাস্তবায়ন করতে পারি; কিন্তু আপনারা রাষ্ট্র সংস্কারের নামে যেভাবে ধীর গতিতে এগুচ্ছেন, আপনাদের প্রতি এদেশের মানুষের আশা এবং প্রত্যাশা দুর্বল হয়ে গেছে।
আমিনুল হক বলেন, বাংলাদেশের মানুষ গত ১৫ বছর ধরে ভোট দিতে পারেনি। সেই ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে একটা অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করার আহবান জানান তিনি।
উত্তরা পূর্ব থানা বিএনপির আহবায়ক মো. শাহ আলমের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান বক্তা ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব হাজী মোস্তফা জামান। এছাড়া আরও বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি, এবিএমএ রাজ্জাক, মো. আক্তার হোসেন, আতাউর রহমান, গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ, তুহিরুল ইসলাম তুহিন, এম কফিল উদ্দিন আহমেদ, আফাজ উদ্দিন, হাজী মো. ইউসুফ, শাহ আলম, মাহাবুবুল আলম মন্টু প্রমুখ।