বৈদেশিক মুদ্রা সংকটে পড়তে পারে বাংলাদেশ, আশঙ্কা বিএনপির

আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের শাসনামলে বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের ফলে বিপুল ঋণের বোঝার কারণে ২০২৭ সালের পর বাংলাদেশ মারাত্মক বৈদেশিক মুদ্রা সংকটে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিএনপি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, ‘বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক দুর্নীতির কারণে ঋণ পরিশোধ করতে হিমশিম খাচ্ছে সরকার। এই চাপটি দেশের অর্থনীতির স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি।’

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সাবেক বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী টুকু বলেন, আওয়ামী লীগ বিদ্যুৎ খাতে জাদুকরি বিভ্রম সৃষ্টির মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের কাছ থেকে দুর্নীতিকে আড়াল করার চেষ্টা করেছে।

তিনি বলেন, ‘সরকার বৈদেশিক মুদ্রায় বিদ্যুৎ খাতের ঋণ পরিশোধ করছে। ফলে ২০২৭ সালের পর দেশে বৈদেশিক মুদ্রার তীব্র সংকট দেখা দেবে।’

টুকু সতর্ক করে বলেন, বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতির কারণে সৃষ্ট সমস্যা দেশের অর্থনীতিতে দীর্ঘমেয়াদে প্রভাব ফেলতে পারে, যা বিনিয়োগের পরিবেশের ক্ষতি করতে পারে।

তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ খাতে অনিয়মের কারণে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে এবং জনগণ এর জন্য আওয়ামী লীগ সরকারকে দোষারোপ করছে।’

আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে করা চুক্তির বিস্তারিত জনসম্মুখে প্রকাশের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমাদের কাছে মনে হয়, আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের শাসনামলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে।’

তিনি বলেন, রাজনৈতিক বিতর্কের কারণে আওয়ামী লীগের দুর্নীতি, চুরি, লুটপাটসহ অন্যান্য অপকর্মের চাপা পড়ে যাচ্ছে।

ফখরুল বলেন, ‘এ কারণে তারা (আওয়ামী লীগ) অভ্যন্তরীণ সুবিধা পাচ্ছে। এই বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের বারবার কথা বলতে হবে। তা না হলে জনগণ আস্তে আস্তে আওয়ামী লীগের দুর্নীতি ও অপকর্ম এবং কীভাবে দেশকে ধ্বংস করেছে তা ভুলে যাবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাদের দল ক্ষমতায় গেলে বিদ্যুৎ খাতের দুর্নীতি ও অনিয়ম পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যালোচনা করবে এবং সে অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।