দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন খালেদা জিয়া

চিকিৎসার জন্য লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাত পৌনে ১২টার দিকে তাকে বহনকারী বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।

খালেদা জিয়াকে বহনকারী উড়োজাহাজটি বিমানবন্দর ছেড়ে যাওয়ার পর সেখানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খালেদা জিয়া দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। যাওয়ার সময় তিনি (খালেদা জিয়া) আবারও বলেছেন, আপনি (ফখরুল) সবাইকে বলবেন, দেশবাসী যেন আমার জন্য দোয়া করেন। আমিও (খালেদা জিয়া) আল্লাহর কাছে দোয়া করি, দেশ ও দেশবাসীকে যেন ভালো রাখেন, কল্যাণ করেন।’

বিমানবন্দরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরও বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের নির্যাতনে, মিথ্যা মামলায় বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়ে ছয় বছর আটক করে রাখা হয়। ওই সময় তিনি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তারপরে আমরা বারবার ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে অনুরোধ করেছিলাম নেত্রীর চিকিৎসার জন্য বাইরে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। কিন্তু ফ্যাসিস্ট হাসিনা কোনো কথাতেই কর্ণপাত করেননি।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আল্লাহর অশেষ রহমতে ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পরে খালেদা জিয়া এখন মুক্ত। সমস্ত মিথ্যা মামলা থেকে মুক্ত হয়েছেন আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া। চিকিৎসার জন্য তিনি এখন লন্ডন যাচ্ছেন। আমরা আশা করছি, সুচিকিৎসা শেষে ‍খালেদা জিয়া আবার দেশের মানুষের কাছে ফিরে আসবেন।’

খালেদা জিয়া কোন রাজনৈতিক বার্তা দিয়েছেন কিনা—এমন প্রশ্নে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘রাজনৈতিক বার্তা হচ্ছে, দেশবাসী যেন ভালো ও সুস্থ থাকে। গণতন্ত্রকে যেন প্রতিষ্ঠা করা হয়, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে যেন আমরা সুসংহত করি।’

বিমানবন্দরের খালেদা জিয়াকে বিদায় জানাতে বিএনপির মহাসচিব ছাড়াও স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাউদ্দিন আহমেদ, বেগম সেলিমা, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, মেজর অব. হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।