খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের কারণে সৃষ্ট ভোগান্তিতে বিএনপির দুঃখ প্রকাশ
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত মঙ্গলবার রাতে দেশের বাইরে নেওয়া হয়েছে। ওই দিন গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে বিমানবন্দরে নেওয়ার পথে তার গাড়িবহরের কারণে সৃষ্ট যানজটে জনভোগান্তির কারণে ঢাকাবাসীর কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছে বিএনপি।
আজ বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘গত ৭ জানুয়ারি কাতার আমিরের পাঠানো বিশেষ বিমানে করে খালেদা জিয়া যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে রওনা দেন। গুলশানে নিজের বাসা থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে এই সময় বিপুলসংখ্যক জনগণ তাকে বিদায়ী শুভেচ্ছা জানাতে আসেন।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘দীর্ঘদিন অন্যায় আক্রোশের শিকার হওয়া দেশনেত্রীর প্রতি জনগণের অমূল্য এই ভালোবাসা প্রকাশের কারণে সেদিন রাস্তায় অনেক যানজট হয় এবং অনেকের জন্যে বিভিন্ন অসুবিধার কারণ হয়। বিএনপির পক্ষ থেকে এ জন্য আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি। পরিস্থিতি বিবেচনায় ঢাকাবাসী এই সাময়িক অসুবিধাকে সুনজরে দেখবেন বলে আমরা প্রত্যাশা করছি।’
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের আক্রোশের শিকার হয়ে দেশনেত্রী ও বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। দেশবাসীর এটাও স্মরণ আছে যে বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনের পুরোধা বেগম খালেদা জিয়া কোনো অন্যায়ের প্রতি আপস না করে, দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা দেখিয়ে বিগত সরকারের দেওয়া মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় কারাগারে অন্তরীণ ছিলেন।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘কারাগারে থাকাকালে উন্নত চিকিৎসার অভাবে তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকে। দেশি ও বিদেশি চিকিৎসকদের পরামর্শে বিএনপি এবং উনার পরিবার থেকে বারবার আবেদন করা সত্ত্বেও তাকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি দেওয়া হয়নি। গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্বাহী আদেশে দেশনেত্রী কারাগার থেকে মুক্তি পান বটে, কিন্তু শারীরিক অবস্থার তেমন উন্নতি না হওয়ায় তাকে বিদেশে আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাবার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়।’