গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ছাড়া সংস্কারের সুযোগ নেই: খসরু

ফাইল ছবি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সংসদ ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ছাড়া প্রশাসন সংস্কার বা পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, ‘জনগণের কাছে জবাবদিহি না থাকায় দেশে একটি শয়তান, ফ্যাসিবাদী ও স্বৈরাচারের আবির্ভাব ঘটেছিল। জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করে তারা (আওয়ামী লীগ) দেশের মালিকানা কেড়ে নিয়েছিল।’

বুধবার (২২ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও উন্নয়নে বিএনপির বৈদেশিক শাখার ভূমিকা শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করেন বিএনপির যুক্তরাষ্ট্র শাখার নেতারা।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খসরু বলেন, দেশের মালিকানা পুনরুদ্ধার করতে হলে সবার আগে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি বলেন, জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে কেবল একটি নির্বাচিত সরকার ও সংসদই দেশে যেকোনো পরিবর্তন আনতে পারে।

গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে পাশ কাটিয়ে কোনো পরিবর্তন আনা বা সংস্কার বাস্তবায়নের সুযোগ নেই। বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘গণতন্ত্র একটি সংশোধন ও বিশুদ্ধকরণ প্রক্রিয়া।’

তিনি বলেন, জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া কোনো সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের অধিকার কারও নেই। ‘আপারা যদি মনে করেন, আপনারা কোনো বিশেষ পরিবর্তন আনতে আগ্রহী— তবে আপনাদেরকে এটি করার জন্য জনগণের কাছ থেকে ম্যান্ডেট নিতে হবে। সেখানে আলাপ-আলোচনা ও বিতর্কের মাধ্যমে প্রস্তাবটি সংসদে উত্থাপন করতে হবে। এটাই একটা প্রক্রিয়া এবং এটা করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া একসঙ্গে বসে ২০ জন জ্ঞানী ব্যক্তি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ ভাগ্য নির্ধারণ করতে পারেন না।

গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে উপেক্ষা করে করা কোনো পদক্ষেপ দেশের জনগণ মেনে নেবে না উল্লেখ করে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে উপেক্ষা করে যেকোনো পদক্ষেপ জনগণের মনে সন্দেহের সৃষ্টি করবে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, গণতান্ত্রিক শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার ছাড়া দেশে স্বাভাবিক অবস্থা নিশ্চিত করা কঠিন হবে।

তিনি বলেন, দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সমর্থন ও সহযোগিতা করছে তার দল।

খসরু বলেন, প্রধানমন্ত্রী, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারসহ কয়েকটি বিষয়ে এরই মধ্যে ঐকমত্য তৈরি হয়েছে। ‘যেসব মৌলিক বিষয়ের ওপর ঐকমত্য তৈরি হয়েছে, সেগুলো আমরা বাস্তবায়ন করতে পারি। ঐকমত্য ছাড়া কারও কিছু করার অধিকার নেই।’

তিনি বলেন, জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনো অগণতান্ত্রিক পদক্ষেপ নেওয়া হলে তা দেশকে ভুল পথে নিয়ে যাবে এবং আওয়ামী ফ্যাসিবাদের ফিরে আসার পথ প্রশস্ত করবে।