১০ বিষয়ে একমত বিএনপি ও ইসলামি আন্দোলন

প্রয়োজনীয় 'ন্যূনতম' সংস্কার সম্পন্ন করে স্বল্প সময়ের মধ্যে একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ ১০ দফা সিদ্ধান্তে ঐকমত্যে পৌঁছেছে বিএনপি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

আজ সোমবার (২৭ জানুয়ারি) ইসলামী আন্দোলনের আমির সৈয়দ মো. রেজাউল করিম ও  বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মধ্যে প্রায় দুই ঘণ্টার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

রাজধানীর পুরানা পল্টনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে মির্জা ফখরুল এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।

দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলুর সঙ্গে নিয়ে বৈঠকটি করেন মির্জা ফখরুল।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম প্রমুখ।

এর আগে গত ২১ জানুয়ারি বরিশালের চরমোনাই দরবার শরীফে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান ও আমির সৈয়দ মো.রেজাউল করিম বৈঠক করেন।

যে সব বিষয়ে দুটি দল একমত হয়েছে—

১. আধিপত্য-বাদ, সম্প্রসারণ-বাদ ও সাম্রাজ্যবাদ মুক্ত স্বাধীন সার্বভৌম টেকসই রাষ্ট্র গঠনে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা।

২. দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি ও টাকা পাচারকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা।

৩. ভোটাধিকারসহ সকল মানবাধিকার রক্ষায় জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তোলা।

৪. ন্যূনতম প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করা।

৫. দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ এবং সকল অধিকার বঞ্চিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করা এবং আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক করে নিয়ে আসা।

৬. আওয়ামী ফ্যাসিবাদ বিরোধী সকল শক্তি দেশ পুনর্গঠনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করব।

৭. ফ্যাসিবাদ বিরোধী শক্তিগুলো একে অপরের বিরুদ্ধে আঘাত করে কথা বলব না।

৮. ভবিষ্যতে যাতে আওয়ামী লীগের মতো আর কোনো ফ্যাসিবাদী শক্তি ক্ষমতায় আসতে না পারে, সে ব্যাপারে আমরা রাজনৈতিকভাবে ঐক্যবদ্ধ থাকব।

৯. ইসলামী শরিয়াহ্ বিরোধী কোনো সিদ্ধান্ত নেব না এবং ইসলাম বিরোধী কোনো কথা কেউ বলব না।

১০. প্রশাসনে এখনো বিদ্যমান আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসরদের দ্রুত অপসারণ করা।