জনগণের ভাষা আপনারা নন, বুঝি আমরা
অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘জনগণের ভাষা আপনারা নন, বুঝি আমরা। কেমনেই-বা বুঝবেন, আপনারা তো জনগণের সরকার না?’
তিনি বলেছেন, ‘জনগণের ভাষা হচ্ছে সুষ্ঠু নির্বাচন। ষড়যন্ত্রে লিপ্ত না হয়ে তাই দ্রুত নির্বাচন দিন। জনগণ চায় সুষ্ঠু অবাধ একটি নির্বাচন, আর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সকাল বিকাল শুধু সংস্কার সংস্কার করছে।’
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে লালমনিরহাট রেলওয়ের মুক্তমঞ্চে আয়োজিত বিএনপির সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর বলেন, ‘১৭ বছর ধরে আন্দোলনে আমরা পিছপা হইনি, বরং আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। বাংলাদেশে আমরাই স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার দল।’
‘ছয়টি বছর ধরে বিদেশে বসে নেতৃত্ব দিয়েছেন আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফায়ই হচ্ছে সংস্কার।’
এই বিএনপি নেতা বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি চলছেই; একজন কৃষক তার ফসলের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না; দাম কমানোর কোনো পদক্ষেপেই নিচ্ছে না এই সরকার। এই সরকার জনগণের ভাষা বোঝে না। কেমনেই-বা বুঝবে, তারা তো জনগণের সরকার না! জনগণের ভাষা হচ্ছে সুষ্ঠু নির্বাচন।’
‘জনগণ ও তরুণদের দাবি, সুষ্ঠুভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে একটি গণতান্ত্রিক সরকারকে নির্বাচিত করা। এই কাজ যদি আপনারা (অন্তর্বর্তী সরকার) করতে পারেন, তাহলে পাশে আছি। ১৬ বছর পর সুষ্ঠ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে একটি সঠিক নির্বাচন চাই।’
তিনি বলেন, ‘ইউনুস সাহেব ভালো মানুষ, কিন্তু তাকে ঘিরে রয়েছে কিছু বুদ্ধিজীবী যারা রাজনীতিবিদদের সম্মান করতে জানেন না। দেশ কীভাবে চলছে—তা কেউ জানে না; প্রশাসন কাজ করছে না। তাই এখন কোনোকিছু খারাপ চিন্তা না করে দেশের মানুষের কথা ভেবে নির্বাচন দেওয়াই প্রযোজ্য।’
এ সময় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক, জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, ‘সিদ্ধান্তহীনতার মধ্য দিয়ে একটি সরকার চলতে পারে না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সবসময় শুধু সংস্কার নিয়ে কথা বলবে, সেটা মেনে নেবে না বিএনপি।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন দলটির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সম্পাদক আব্দুল খালেক ও অধ্যাপক আমিনুল হক, লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি রোকন উদ্দিন বাবুল, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন প্রমুখ।