কাতারের আমিরের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে খালেদা জিয়া দেশে ফিরবেন মঙ্গলবার
কাতারের আমিরের দেওয়া বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে লন্ডন থেকে আগামী মঙ্গলবার (৬ মে) ঢাকায় পৌঁছাবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের বরাত দিয়ে শনিবার (৩ মে) রাতে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘ম্যাডাম সোমবার কাতারের আমিরের দেওয়া বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে লন্ডন থেকে রওনা হবেন এবং মঙ্গলবার ঢাকায় পৌঁছাবেন।’
তবে ঠিক কখন তিনি লন্ডন ত্যাগ এবং হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন, তা পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে, শুক্রবার বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, রবিবার সন্ধ্যায় লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি নিয়মিত ফ্লাইটে দেশের উদ্দেশে রওনা হবেন খালেদা জিয়া। তার সঙ্গে দুই পুত্রবধূ জুবাইদা রহমান ও সৈয়দা শর্মিলা রহমানও দেশে আসছেন।
গতকাল সন্ধ্যার পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা আশা করছি, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সোমবার কাতারের একটি বিশেষ বিমানে যেটা আমরা আশা করছিলাম যে বিমানে (এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে) অর্থাৎ কাতারের রয়েল অ্যাম্বুলেন্স তিনি লন্ডনে গিয়েছিলেন সেই অ্যাম্বুলেন্সের ফ্লাইটে দেশে ফিরে আসবেন।’
তিনি বলেন, ‘চার মাস পর চিকিৎসা শেষে খালেদা জিয়া দেশে ফিরছেন। স্বাভাবিকভাবে নেতা-কর্মীদের মধ্যে আবেগ আছে। তাকে অভ্যর্থনা জানানো নৈতিক দায়িত্ব। সারা দেশের মানুষ অভ্যর্থনা জানাতে প্রস্তুত। শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে জনগণ যেন তাকে অভ্যর্থনা জানাতে পারেন, সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’
‘অত্যন্ত শৃঙ্খলাসহকারে যানজট সৃষ্টি না করে রাস্তার দুই ধারে দলের নেতা-কর্মীরা খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানাবেন। নেতা-কর্মীরা এক হাতে জাতীয় পতাকা, আরেক হাতে দলীয় পতাকা নিয়ে সড়কের দুই পাশে দাঁড়িয়ে অভ্যর্থনা জানাবেন খালেদা জিয়াকে।’
উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৮ জানুয়ারি কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডন যান খালেদা জিয়া। সেখানে পৌঁছানোর পর তাকে লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয় এবং ১৭ দিন সেখানে তিনি প্রখ্যাত বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি ও অধ্যাপক জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসা নেন। তারপর থেকে তারেক রহমানের বাসায় থেকে চিকিৎসা নেন তিনি।
অর্ধযুগের বেশি সময় পর এবার লন্ডনে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করেন খালেদা জিয়া। ছেলে তারেক রহমানের বাসায় আনন্দঘন পরিবেশে সময় কাটছে তার।
২০১৮ সালে বিএনপির চেয়ারপারসন দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন। তার চারটি ঈদে কেটেছে কারাগারে ও বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের এক আদেশে খালেদা জিয়া মুক্তি পান। এরপর দুর্নীতির যে দুটি মামলায় তিনি কারাবন্দি হয়েছিলেন, সেগুলোর রায় বাতিল করে আদালত।