মানুষের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তার জন্য বিএনপি বারবার কথা বলেছে: রিজভী

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘গণমানুষের দল বিএনপি বারবার গণতন্ত্রের জন্য, মানুষের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তার জন্য কথা বলেছে। জনগণের ক্ষমতা তাদের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য জেল-জুলুম মাথায় নিয়ে ১৫ বছর ধরে দেশে গণতান্ত্রিক ক্ষেত্র তৈরি করেছে।’  

তিনি বলেছেন, ‘যে গণতন্ত্রে জনগণের ক্ষমতা নিশ্চিত থাকে, সে জনগণের ক্ষমতা শেখ হাসিনা ভোর রাতে ডাকাতের মতো কেড়ে নিয়ে তার অবৈধ রাজ সিংহাসন টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছিলেন। জনগণের ক্ষমতা তাদের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য জেল-জুলুম মাথায় নিয়ে ১৫ বছর বিএনপি ত্যাগ স্বীকার করে ক্ষেত্র তৈরি করেছে। গত জুলাই আগস্টে ছাত্র জনতা সেই ক্ষেত্রের মধ্য থেকে শেখ হাসিনাকে পালাতে বাধ্য করেছে।’

আজ শনিবার বিকেলে নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলার হাতিরদিয়া ছাদত আলী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

খেলা উদ্বোধন করেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও নরসিংদী জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবির খোকন।

সংস্কার প্রক্রিয়া কোনো নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নয় উল্লেখ করে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, ‘এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। সংস্কার তো চারশ বছরের পুরনো বটগাছের মতো এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকে না। সংস্কার পদ্মা নদীর পানির মতো এগিয়ে চলে। যুগে যুগে জনগণের প্রয়োজন অনুযায়ী করতে হয়। তাই কবে সংস্কার সম্পন্ন করবেন আর কখন নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করবে সেটা জাতি জানতে চায়। 

জবাবদিহিমূলক কাজগুলো নির্বাচিত সরকার সহজেই করতে পারে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, দেশের অভ্যন্তরে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ, সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা কেবল নির্বাচিত সরকারেরই থাকে। তাই এই মুহুর্তে একটি নির্বাচিত সরকার খুবই প্রয়োজন। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জনগণ যাকে ইচ্ছে তাকে প্রতিনিধি বানাবে, যেই দলকে ইচ্ছে সেই দলকে ক্ষমতায় বসাবে। এখানে বিএনপির কোনো আপত্তি নেই। 

তিনি বলেন, বিগত ১৫ বছর বিএনপির নেতাকর্মীদের ক্রসফায়ার এবং বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করা হয়েছে। অনেককে গুম করা হয়েছে, যাদের হদিস এখনো পাওয়া যায়নি। চৌধুরী আলম, সাইফুল ইসলাম হিরু, ইলিয়াস আলীসহ বিএনপি, যুবদল এবং ছাত্রদলের অসংখ্য নেতাকর্মীকে মায়ের কোল থেকে র‌্যাব ও পুলিশ বাহিনী উঠিয়ে নিয়ে গেছে। এখনো তাদের হদিস আমরা পাইনি।

ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েলের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন নরসিংদী জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন মাস্টার, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান মিন্টু, ইকবাল হোসেন শ্যামল, ডা. জাহিদুল কবির, ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল, নরসিংদী জেলা যুবদলের সভাপতি মহসিন হোসেন বিদ্যুৎ, ছাত্রদলের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান নাহিদ, মনোহরদী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র আব্দুল খালেক মিয়া, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মাহমুদুল হক, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম বাছেদ মোল্লা ভুট্টো প্রমুখ।