আজহারের রায় জুলাইয়ের প্রত্যাশাকে ভেঙে দিয়েছে : গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট
মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামকে খালাস দেওয়াকে প্রত্যাখান করেছে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলো।
আজ মঙ্গলবার রায়ের পর দেওয়া এক বিবৃতিতে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের পক্ষ থেকে এ প্রতিক্রিয়া জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট বলেছে, আওয়ামী লীগ সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের গণদাবীকে প্রহসনে পরিণত করেছিল, নিজের ক্ষমতায় টিকে থাকার হাতিয়ার বানিয়েছিল এবং ত্রুটিপূর্ণ বিচার করেছিল। প্রকৃত যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে তারা প্রশ্নবিদ্ধ করেছে, জাতির সাথে বেঈমানি করেছে। এতে বিচার ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা তলানিতে গিয়ে পৌঁছেছে।’
‘এটিএম আজহার ও তার দল জামায়াতে ইসলামী মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে পাকিস্তানের পক্ষে দাঁড়িয়েছিল এবং গণহত্যায় অংশগ্রহণ করেছিল। আওয়ামী লীগ আমলে ঘোষিত আজহারের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন থাকলে নতুন করে শুনানি শুরু করা যেত। সেটাই স্বাভাবিক আইনি প্রক্রিয়া। অথচ তা না করে রিভিউ শুনানির রায়ে তাকে নির্দোষ ঘোষণা করা হলো। এটিএম আজহারের মুক্তির প্রক্রিয়াটি রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত। এর মাধ্যমে আদালতের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। বিচার ব্যবস্থা যে এখনো পুরোমাত্রায় রাজনৈতিক প্রভাবাধীন-তা প্রমাণিত হলো।’
এতে আরো বলা হয়, ‘আমরা এই রায় প্রত্যাখান করছি। মুক্তিযুদ্ধকে আওয়ামী লীগ যেভাবে দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করেছে তাকে প্রতিরোধ করেছিল জুলাই গণঅভ্যুত্থান। জুলাই গণঅভ্যুত্থান গণতন্ত্র, ন্যায় বিচার এবং স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার আকাঙক্ষা সৃষ্টি করেছিল। দুঃখজনকভাবে এই রায় সেই প্রত্যাশাকে ভেঙে দিয়েছে। জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার নিয়ে মানুষের মধ্যে যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, এই রায় সেই শঙ্কাকে আরও দৃঢ় করলো।’
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি দিলীপ রায়, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি সালমান সিদ্দিকী, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি তামজিদ হায়দার চঞ্চল, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি ছায়েদুল হক নিশান, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি অমল ত্রিপুরা, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মিতু সরকার এবং বিপ্লবী ছাত্র- যুব আন্দোলনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তাওফিকা প্রিয়া।